সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান আলো প্রশ্ন ও উত্তর : ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়): আলো West Bengal Class 7 Science Light : সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান – ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়) আলো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Science Light নিচে দেওয়া হলো। এই সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান আলো প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 7 Science Light Question and Answer, Suggestion, Notes – ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়) আলো থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি ভাল করে তৈরি করলে বিদ্যালয়ের Summative Exam এ আলো চ্যাপ্টার এর সব প্রশ্ন কমন পাবে

ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়) | West Bengal Class 7 Science Heat
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: মান – 1 | সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান – ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়): আলো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Science Light
1. শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ কত?
উত্তর: 3×10⁸ মি/সে
2. দুটি স্বপ্রভ বস্তুর নাম লেখো।
উত্তর: সূর্য, জ্বলন্ত মোমবাতি।
3. গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে কোন্ট স্বপ্রভ?
উত্তর: নক্ষত্র।
4. সৃচিছিদ্র ক্যামেরার সাহায্যে কী প্রমাণিত হয়?
উত্তর: আলো সরলরেখায় চলে।
5. দুটি নিষ্প্রভ বস্তুর উদাহরণ দাও।
উত্তর: ঘরবাড়ি, গাছপালা।
6. কী জাতীয় প্রতিফলকে নিয়মিত প্রতিফলন হয়?
উত্তর: মসৃণ প্রতিফলকে
7. কোন ক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন হয়?
উত্তর: অমসৃণ প্রতিপালকের ক্ষেত্রে
8. সিনেমার পর্দায় কোন্ প্রতিফলন হয়?
উত্তর: বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন হয়
9. ছায়া কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: দুই প্রকার প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া
10. প্রচ্ছায়া না উপচ্ছায়ার কোনটি গাঢ়?
উত্তর: প্রচ্ছায়া
11. প্রতিবিম্ব কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর: দুই প্রকার সদবিম্ব ও অসদবিম্ব
12. সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: প্রতিবিম্ব অসদ ও সমশীর্ষ হবে এবং বস্তু দূরত্ব ও প্রতিবিম্ব দূরত্ব সমান হবে।
13. সাদা আলো কটি বর্ণের সমষ্টি?
উত্তর: সাতটি
14. পার্শ্বীয় পরিবর্তন কেন হয়?
উত্তর: সমতল দর্পণে বস্তু দূরত্ব ও প্রতিবিম্ব দূরত্ব সমান হয় বলে, ডান দিক বাম দিক বলে মনে হয়
15.তিনটি ক্ষতিকারক অদৃশ্য রশ্মির নাম লেখো।
উত্তর: অতি বেগুনি রশ্মি, এক্স রশ্মি, গামা রশ্মি
16. দৃশ্যমান আলো ও এক্স রশ্মির মধ্যে কার শক্তি বেশি?
উত্তর: এক্স রশ্মি
17.জৈবজ্যোতি বিচ্ছুরণ দেখায় এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: জোনাকি
18.আলোর প্রভাবে চামড়ার রং পরিবর্তন হয় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: গার্ডেন লিজার্ড এবং গ্রীন টোড
19. গরমকালে ফোটে এমন দুটি ফুলের নাম লেখো।
উত্তর: টগর, রজনীগন্ধা
20. উদ্ভিদের কোন্ অংশে খাদ্য তৈরি হয়?
উত্তর: পাতা
21. কোন ক্ষেত্রে রশ্মি প্রতিসৃত হলেও বেগের অভিমুখ পরিবর্তন হয় না?
উত্তর: লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে
22.AMBULANCE শব্দটি অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে কেমন ভাবে লেখা থাকে?
উত্তর: উল্টো ভাবে
23. কোন প্রতিবিম্বকে চোখে দেখা যায় কিন্তু পর্দায় ফেলা যায় না?
উত্তর: অসদবিম্ব
24. তেজস্ক্রিয় বিকিরণে যে অদৃশ্য রশ্মি উপস্থিত থাকে সেটি কি?
উত্তর: গামা রশ্মি
25. আলো কম পেলে কোন মাছের বাচ্চারা মারা যায়?
উত্তর: স্যামন
26. অভিলম্ব কাকে বলে?
উত্তর: প্রতিফলক এর ওপর আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত লম্ব কে অভিলম্বে বলে।
27. আপতন বিন্দু কাকে বলে?
উত্তর: আয়নার উপর যে বিন্দুতে আপতিত আলো এসে পড়েছে তাকে অপদার বিন্দু বলে।
28. প্রতিফলিত ও আপতিত রশ্মি কাকে বলে?
উত্তর: যে পথ ধরে আলো আয়নায় এসে পড়েছে তাকে আপতিত আলোকরশ্মি এবং আয়নায় পড়ে আলো যে পথ ধরে ফিরে যায় তাকে প্রতিফলিত আলোক রশ্মি বলে।
29. আপতন কোণ কাকে বলে?
উত্তর: অভিলম্ব ও আপতিত রশ্মির মাঝের কোন কি বলা হয় আপতন কোণ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: মান – 2 | সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান – ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়): আলো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Science Light
1. একটি প্রাকৃতিক ঘটনার উল্লেখ কর যার থেকে বোঝা যায় আলো সরলরেখায় চলে।
উত্তর:জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করলে ঘরের বাতাসে ভাসতে থাকা ধূলিকণাগুলি আলোকিত হয় এবং আলোর গতিপথ আমাদের দেখিয়ে দেয়। ওই গতিপথ দেখে আমরা বুঝতে পারি আলো সরলরেখায় চলে।
2. মৌলিক বর্ণ কাকে বলে?
উত্তর: বর্ণালির লাল, নীল ও সবুজ-এই তিনটি বর্ণকে উপযুক্ত পরিমাণে মিশিয়ে বর্ণালির অন্যান্য যেকোনো রংকে প্রস্তুত করা যায় কিন্তু একাধিক অন্য কোনো রঙের সাহায্যে এই তিনটি রংকে উৎপন্ন করা যায় না। তাই লাল, নীল ও সবুজ এই তিনটি রংকে মৌলিক বর্ণ বলা হয়।
3. এম্বুলেন্সের সামনে অ্যাম্বুলেন্স শব্দটি উল্টো করে লেখা থাকে কেন?
উত্তর: AMBULANCE শব্দটি উলটো করে লেখা থাকায় সামনের গাঁড়ির আয়নায় অক্ষরটির যে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় তা পার্শ্বীয় পরিবর্তনের ফলে আবার উলটে যায় অর্থাৎ সোজা হয়ে ওই আয়নাতে দৃশ্যমান হয়। সামনের গাড়ির ড্রাইভার লেখাটি সহজেই পড়তে পারে এবং AMBULANCE-কে আগে যাওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়।
4. বর্ণালির প্রান্তিক বর্ণদুটির নাম লেখো।
উত্তর: লাল ও বেগুনি
5. বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক দৃষ্টান্ত উল্লেখ কর।
উত্তর: রংধনু বা রামধনু সৃষ্টি: এটি সাধারণত বৃষ্টির পর বিকেলের আকাশে দেখা যায়। বাতাসে ভাসমান জলকণাগুলি মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো যাওয়ার সময়ে বিচ্ছুরিত হয়ে সাতটি বর্ণ যুক্ত এই আলোকপটি গঠন করে। এখানে জলকণাগুলি প্রিজম অর্থাৎ প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
6. সিনেমার পর্দা সাদা ও অমসৃণ হয় কেন?
উত্তর: সিনেমার পর্দা সাদা রঙের করা হয় কারণ, সাদা রং কোনো বর্ণের আলোই শোষণ না করে সমস্ত বর্ণকেই প্রতিফলিত করে। ফলে প্রতিফলিত রশ্মির ঔজ্জ্বল্য বাড়ে এবং সাদাকালো বা রঙিন যে-কোনো ছবিই দেখা সুবিধাজনক হয়।
পর্দা অমসৃণ হওয়ায় আলোকরশ্মির বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে এবং সিনেমা হলের সবদিকে তা সুষমভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যে-কোনো অবস্থানে বসে থাকা দর্শকের পক্ষে ছবি দেখতে পাওয়া সুবিধাজনক হয়।
7. প্রতিসরণের কারণ কি?
উত্তর:দুটি ভিন্ন মাধ্যমে আলোকরশ্মির বেগের মানের পার্থক্যই প্রতিসরণের কারণ। ঘন মাধ্যমে আলোকরশ্মির বেগ কম, লঘু মাধ্যমে বেশি। সুতরাং ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করার সময় তির্যক আপতনের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মি একই সময়ে ঘন মাধ্যমে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, লঘু মাধ্যমে অতিক্রান্ত দূরত্ব তার থেকে বেশি হতে হয়।
এই কারণে রশ্মির অভিমুখ পরিবর্তন ঘটে। লম্বভাবে আপতিত রশ্মি বিভেদতল অতিক্রম করে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করলে বেগের মান পরিবর্তিত হলেও গতির অভিমুখ পরিবর্তন হয় না। তাই ব্যাপক অর্থে বলা যায়-আলোকরশ্মির বিভেদতল অতিক্রম করার ঘটনাই হল প্রতিসরণ।
8. সুচি ছিদ্র ক্যামেরায় প্রতিকৃতি বড় পেতে গেলে কি কি করতে হবে?
উত্তর: সূচিছিদ্র ক্যামেরায় প্রতিকৃতি বড়ো পেতে হলে দুটি পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে
1) ক্যামেরা বাক্সের দৈর্ঘ্য অর্থাৎ ছিদ্র ও পর্দার দূরত্ব স্থির রেখে বস্তুটিকে ছিদ্রের কাছে আনতে হবে।
2) ছিদ্র থেকে বস্তুর দূরত্ব স্থির রেখে ছিদ্র থেকে পর্দার দূরত্ব বাড়াতে হবে।
9. ছায়া কি?
উত্তর: আলোকরশ্মির গতিপথে যদি কোন অস্বচ্ছ বস্তু এসে পড়ে তাহলে বস্তুর পিছন দিকে যে অন্ধকার স্থান সৃষ্টি হয় তাকে ছায়া বলে।
10. নিয়মিত প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর: সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ যদি কোনো মসৃণ বা চকচকে তলে আপতিত হয়, তবে প্রতিফলনের পর তা ‘সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ হিসেবেই প্রতিফলক থেকে নির্গত হয়ে থাকে। এই ঘটনাকে নিয়মিত প্রতিফলন বলে। উদাহরণ-সমতল দর্পণ, ধাতব পৃষ্ঠ, স্থির জলতল ইত্যাদি থেকে আলোর প্রতিফলন।
11. বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর: সমান্তরাল আলোক রশ্মিগুচ্ছ অমসৃণ তলে আপতিত হলে প্রতিফলিত রশ্মিগুলি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রতিফলনকে অনিয়মিত বা বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন বলে উদাহরণ-অমসৃণ দেওয়াল, সিনেমার পর্দা ইত্যাদি থেকে আলোর প্রতিফলন।
12. প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তর: আলোকরশ্মি যখন কোন স্বচ্ছ ও সমসত্ব মাধ্যম থেকে ভিন্ন আলোকীয় ঘনত্বের অপর একটি স্বচ্ছ ও সমসত্ব মাধ্যমের ওপর তির্যক ভাবে আপতিত হয় তখন উভয় মাধ্যমের বিভেদ তল থেকে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে, এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
13. প্রতিফলনের সূত্র দুটি লেখ।

উত্তর: 1) আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি, আপতান বিন্দুতে প্রতিফলক তলের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকবে।
2) আপতন কোণ এবং প্রতিফলনন কোণের মান সমান হয়।
সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী / রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর মান – 2/3 | সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান – ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়): আলো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Science Light
1. আলোক উৎস কাকে বলে? আলোক উৎস কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: যে-কোনো বস্তু যা আলো উৎপাদন করে অথবা অন্য উৎস থেকে পাওয়া আলো বিকিরণ করতে সক্ষম, তাকেই আলোক উৎস বলা হয়। আলোক উৎসের দু-রকম শ্রেণিবিভাগ করা যায়, যেমন-
(1) গঠন বা আকৃতিগত প্রকারভেদ এবং(2) কার্যগত প্রকারভেদ।
(1) আকৃতিগত শ্রেণিবিভাগ: গঠন বা আকৃতির বিচারে আলোক উৎস দু-প্রকার- (i) বিন্দু উৎস ও (ii) বিস্তৃত উৎস।
(i) বিন্দু উৎস: যে উৎসের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা কিছু যে শুধুমাত্র অস্তিত্ব আছে। উদাহরণ-জ্বলন্ত টর্চের মুখ কালো কাগজে মুড়ে তার মধ্যে আলপিন ফুটিয়ে তৈরি করা সরু ছিদ্র লেজার টর্চ।
(ii) বিস্তৃত উৎস: নির্দিষ্ট মাত্রা অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সম্পন্ন আলোক উৎস। উদাহরণ-জ্বলন্ত টর্চ।
(2) কার্যগত শ্রেণিবিভাগ: কার্যগত দিক থেকেও উৎস তি দু-প্রকার- (i) স্বপ্রভ উৎস ও (ii) অপ্রভ উৎস।
(i) স্বপ্রভ উৎস: যাদের নিজস্ব আলো আছে। যেমন-টিউবলাইট, মোমবাতি।
(ii) অপ্রভ উৎস: যাদের নিজস্ব আলো নেই, অন্য স্বপ্রভ উৎস থেকে পাওয়া আলোতে যারা আলোকিত হয় এবং সেই আলো বিকিরণ করে। যেমন-পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ ,উপগ্রহ।
2. কোন বস্তুর ছায়া ও প্রতিবিম্বের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর: ছায়া
- অস্বচ্ছ বস্তু দ্বারা আলোর গতি বাধা পাওয়ার জন্য ছায়ার সৃষ্টি হয়।
2) যে অংশে বস্তুর ছায়া গঠিত হয় সেখান থেকে কোন রশ্মি দর্শকের চোখে এসে পড়ে না।
3) ছায়া থেকে বস্তুর বাইরের আকৃতি সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয় মাত্র। বস্তুর উচ্চতা, বর্ণ প্রভৃতি তথ্য পাওয়া যায় না।
প্রতিবিম্ব
1) আলোকরশ্মির প্রতিফলন বা প্রতিসরণের ফলে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
2) বস্তু থেকে নির্গত আলোকরশ্মির প্রতিফলিত বা প্রতিশ্রুত হয়ে দর্শকের চোখে পৌঁছালে তখন প্রতিবিম্বকে দেখতে পাওয়া যায়।
3) প্রতিবিম্ব থেকে বস্তুর অভ্যন্তরীণ গঠন, বর্ণ প্রতি সম্বন্ধে জানা যায়।
3. প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছয়া কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বিস্তৃত আলোক উৎসের সামনে অস্বচ্ছ বস্তু থাকলে যে ছায়া গঠিত হয়, তার দুটি অংশ থাকে। ছায়ার মাঝখানে যে গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থান থেকে আলোক উৎসের কোনো অংশকেই দেখা যায় না, তাকে প্রচ্ছায়া বলে প্রচ্ছায়ার চারপাশে অপেক্ষাকৃত কম অন্ধকারাচ্ছন্ন যে স্থান থেকে উৎসকে আংশিক দেখা যায়, তাকে উপচ্ছায়া বলে।
READ MORE…
4. সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।

উত্তর: সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব এর বৈশিষ্ট্য: –
1) দর্পণ থেকে বস্তু দূরত্ব = দর্পণ থেকে প্রতিবিম্ব দূরত্ব।
2) বস্তুর আকার ও প্রতিবিম্বের আকার সমান হয়।
3) সদ্ বস্তুর অসদ প্রতিবিম্ব ও অসদ্ বস্তুর সদ্ প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
4) অপ্রতিসম বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্বীয় পরিবর্তন হয়। প্রতিবিম্ব বস্তুর সমশীর্ষ হয়।
5. সদ বিম্ব ও অসদ বিম্বের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
সদ বিম্ব | অসদ বিম্ব |
---|---|
1) আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে প্রকৃতই কোনো বিন্দুতে মিলিত হয়। | 1) আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। |
2) চোখে দেখা যায়, পর্দাতেও ফেলা যায়, প্রতিবিম্বের অবস্থানে ফটোগ্রাফিক প্লেট বা ফিল্ম রাখলে ছবি ওঠে। | 2) চোখে দেখা গেলেও পর্দায় ফেলা বা ছবি তোলা যায় না। |
3) সাধারণত বস্তু সাপেক্ষে উলটো (অবশীর্ষ) হয়। | 3) সাধারণত বস্তু সাপেক্ষে সোজা (সমশীর্ষ) হয়। |
6. পার্শ্বীয় পরিবর্তন কাকে বলে? এর কারণ কি?
উত্তর: প্রতিফলনের ফলে অপ্রতিসম বস্তুর প্রতিবিম্বের বস্তু সাপেক্ষে পাশাপাশি উলটে যাওয়ার ঘটনাকে পার্শ্বীয় পরিবর্তন বলে। উদাহরণ-ইংরেজি বর্ণমালার B, C, D, P ইত্যাদি অক্ষরগুলি অপ্রতিসম হওয়ায় পার্শ্বীয় পরিবর্তন দেখায়।
কারণ: দর্পণ থেকে বস্তু ও তার প্রতিবিম্বের লম্ব দূরত্ব সমান হয় এজন্যই পার্শ্বীয় পরিবর্তন হয়। বস্তুর আকার ও প্রতিবিম্বের আকার যদিও একই থাকে। প্রতিসম বস্তুর ক্ষেত্রে প্রতিসাম্য রেখার (বা তলের) ডানদিকে ও বামদিকের কোনো পার্থক্য থাকে না। তাই পার্শ্বীয় পরিবর্তন বোঝা যায় না।
7. জলপূর্ণ পাত্রের গভীরতা কম দেখায় কেন?
উত্তর: ধরা যাক, পাত্রের তলদেশে অবস্থিত একটি বিন্দু A। A বিন্দু থেকে আগত অপসারী রশ্মিগুচ্ছ জল (ঘন মাধ্যম) থেকে বায়ুতে (লঘু মাধ্যম) প্রতিসৃত হওয়ার সময় অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।
চোখ এই বাঁকা পথ অনুসরণ করতে না পারায় ওপর থেকে ওই অপসারী রশ্মি বরাবর তাকালে সেগুলি যেখানে মিলিত হয় সেখানে A বিন্দুর অসদ প্রতিবিম্বকে দেখতে পায় মাত্র, বস্তুকে নয়। তাই চোখের কাছে মনে হয় যে, পাত্রের তলদেশ কিছুটা উঠে এসেছে, অর্থাৎ পাত্রের গভীরতা কম দেখায়।
READ MORE….
8. বিচ্ছুরণ কাকে বলে? বিচ্ছুরণের কারণ লেখ।
উত্তর: প্রিজমের মত কোন স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে সাদা বা অন্য কোন যৌগিক বর্ণের আলোকরশ্মি যাওয়ার সময় বিভিন্ন মৌলিক বর্ণে বিশ্লিষ্ট হওয়ার ঘটনাকেই বলা হয় বিচ্ছুরণ।
বিচ্ছুরণের কারণ:-সাদা আলো প্রকৃতপক্ষে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের সমষ্টি। বায়ু মাধ্যমে এই প্রত্যেকটি বর্ণের আলোর বেগ সমান হলেও নির্দিষ্ট মাধ্যমে তাদের গতিবেগ ভিন্ন।
তাই প্রত্যেক ভিন্ন বর্ণের জন্য প্রতিসরাঙ্ক ও প্রতিসরণ কোণ আলাদা হয়, অর্থাৎ তারা ভিন্ন ভিন্ন পথে প্রতিসৃত হয়। এই কারণে যৌগিক আলো বিভিন্ন রংয়ের আলোয় ভেঙ্গে যায়।
9. নিয়মিত ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের পার্থক্য লেখ।
উত্তর:
নিয়মিত প্রতিফলন | বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন |
---|---|
1) প্রতিফলক মসৃণ হওয়া প্রয়োজন। | 1) প্রতি ফলক অমসৃণ হওয়া প্রয়োজন। |
2) প্রতিফলিত রশ্মি নির্দিষ্ট দিকে যায়। | 2) প্রতিফলিত রশ্মি গুলি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। |
3) উৎসের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। | 3) উৎসের প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। |
4) প্রতিফলককে ঘুরিয়ে ইচ্ছামতো প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছের দিক পরিবর্তন করা যায়। | 4) প্রতিফলককে ঘুরিয়ে ইচ্ছামত প্রতিফলিত রশ্মি গুচ্ছের দিক পরিবর্তন করা যায় না। |
READ MORE….
WB Class 7 Science Heat: 1st Chapter | সপ্তম বিজ্ঞান: তাপ
এই প্রশ্ন উত্তর গুলোও ভাল করে তৈরি করতে হবে
West Bengal Class 7 Science Light Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়) আলো MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । West Bengal Class 7 Science Light Suggestion সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান আলো চ্যাপ্টার এর প্রশ্ন ও উত্তর গুলি আশা করি ছাত্র ছাত্রী দের খুব কজে লাগবে।
আরও আপডেট Class 7 Science Light Question and Answer সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভৌত পরিবেশ (প্রথম অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর Class 7 Science Light Question and Answer সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর এর জন্য BIGYANSIKSHA.COM ওয়েবসাইট টি অনুসরণ করতে পারো
READ MORE
সীতারাম রাজু |Who was Alluri Sitaram Raju Class 10
বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত: এক অগ্নিপুরুষের জীবনকথা
READ MORE
অ্যানি বেসান্ত: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অনন্য অধ্যায়
READ MORE
বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত: এক অগ্নিযুগের বীরগাথা
READ MORE
শহীদ উধম সিং: ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের বদলা – ১০০% সত্য ঘটনা
READ MORE
উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কেমন অবদান রেখেছিলেন?
READ MORE
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ক্ষুদিরাম বসু
READ MORE
অজয় মুখার্জি: মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিস্মরণীয় নায়ক
READ MORE
ইন্দুলাল ইয়াগনিক : এক বর্ণময় জীবন
READ MORE
উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
READ MORE
আবুল কাশেম ফজলুল হক: বাংলার এক কিংবদন্তী
- চরকসংহিতা: প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রের অমূল্য রত্নপ্রাচীন ভারতে চিকিৎসাশাস্ত্রের যেসকল কীর্তি আজও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত, তার মধ্যে অন্যতম হল চরক রচিত ‘চরকসংহিতা‘। এই মহাগ্রন্থটি শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সারা বিশ্বের মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হওয়ার পাশাপাশি, এটি বহু চিকিৎসককে অনুপ্রাণিত করেছে এবং তাদের পথপ্রদর্শন করেছে। চরকের পরিচয় চরকসংহিতার রচয়িতা চরক সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য পাওয়া যায় না। তবে প্রাচীন ভারতের …
- ভারতের জাতীয় দিবসভারতের জাতীয় দিবস গুলি হল সেই বিশেষ দিনগুলি, যা ভারতীয় ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং যা গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয়। এই দিনগুলি ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় চেতনাকে প্রতিফলিত করে। প্রধান জাতীয় দিবসগুলি হল: ১. স্বাধীনতা দিবস (১৫ আগস্ট): ১৯৪৭ সালের এই দিনে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এই দিনটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের …
- জীবক: প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্রপ্রাচীন ভারতে চিকিৎসাশাস্ত্রে জীবক ছিলেন এক কিংবদন্তী বিজ্ঞানী। তাঁর জ্ঞান ছিল অগাধ এবং তাঁর অবদান আজও স্মরণীয়। জীবকের জীবন ও শিক্ষা মগধের রাজা বিম্বিসার একদিন রাতে প্রজাদের অবস্থা জানতে বের হয়েছিলেন এবং রাস্তায় একটি নবজাতকের কান্না শুনতে পান। তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজের পুত্র হিসেবে লালন-পালন করেন এবং তক্ষশীলা শিক্ষানিকেতনে পাঠান। সেখানে জীব-ক গুরু আত্রেয়ের …
- প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নউত্তরবিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় পরিবেশ সংক্রান্ত যে সমস্ত প্রশ্ন করা হয়, সেই সব প্রশ্ন ও তাদের উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সফল হতে গেলে পরিবেশ থেকে ভাল করে প্রশ্ন উত্তর প্র্যাক্টিস করতে হবে। পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নউত্তর এর বাস্তুবিদ্যা এবং বাস্তুতন্ত্র (Ecology and Ecosystem) Environmental studies in bengali ১. প্রশ্ন: ” …
- বরাহমিহির: জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিষী ও পণ্ডিতবরাহমিহির ছিলেন উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভার এক উজ্জ্বল রত্ন। জ্যোতিষশাস্ত্র, অঙ্কশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিদ্যায় তাঁর মতো পারদর্শী কেউ ছিলেন না। উজ্জয়িনীর নবরত্ন মিহিরের জন্ম ও পরিচয় কিংবদন্তী অনুসারে, তাঁর পিতার নাম ছিল বরাহ এবং পুত্রের নাম ছিল মিহির। প্রথমে বরাহ নবরত্ন সভায় স্থান পান, পরে বিক্রমাদিত্য মিহিরকে সভায় নিয়ে আসেন। সম্রাটের ইচ্ছা ছিল খণাকেও সভায় …
- সীতারাম রাজু |Who was Alluri Sitaram Raju Class 10ঘন জঙ্গল, ব্রিটিশ অত্যাচার, আর এক অদম্য বিদ্রোহী! আল্লুরি সীতারাম রাজু, এক নাম যা আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা। আদিবাসীদের হৃদয়পুরুষ, রম্পা বিদ্রোহের নেতা, যিনি অহিংসা থেকে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জানুন, কীভাবে এক সাধারণ মানুষ হয়ে উঠলেন অরণ্যের অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা। তার জীবনকাহিনী আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে আল্লুরি সীতারাম রাজু: অরণ্যের বীর অন্ধকার রাত, …