
দশম শ্রেণী: পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন – WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion – পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হল । এই WBBSE Class 10th (X) Madhyamik Physical Science Suggestion – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন –পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর গুলি আগামী আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারো । মাধ্যমিক পরীক্ষাতে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
Madhyamik Physical Science Suggestion
মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর (অধ্যায়-৪) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Physical Science Suggestion – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ Question) : (মান –1) পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন : Inorganic Chemistry Class ten in Bengali
1. হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির সময় যে অনুঘটকটি ব্যবহৃত হয়
(a) MnO2
(b) Pt চূর্ণ
(c) Fe চূর্ণ
(d) Cu চূর্ণ
উত্তর: (c ) Fe চূর্ণ
2. হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়ার শিল্প উৎপাদনের সময় এমোনিয়া কোন ভৌত অবস্থায় থাকে?
(a) কঠিন
(b) তরল
(c) গ্যাসীয়
(d) তরল ও গ্যাসের মিশ্রণ
উত্তর:(b) তরল
3. নিচের কোন গ্যাসটি জলে অত্যন্ত দ্রব্য
(a) নাইট্রোজেন
(b) অ্যামোনিয়া
(c) হাইড্রোজেন সালফাইড
(d) অক্সিজেন
উত্তর: (b) অ্যামোনিয়া
4. কপার সালফেট এর জলীয় দ্রবণে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যামোনিয়া যোগ করলে কি পরিবর্তন হবে?
(a) হলুদ হবে
(b) সবুজ হবে
(c) গাঢ় নীল হবে
(d) বাদামি হবে
উত্তর:(c ) গাঢ় নীল হবে
5. কার সাথে বিক্রিয়ায় নেসলার বিকারক বাদামি রং ধারণ করে
(a) HNO3
(b) NH3
(c) NH4OH
(d) NaOH
উত্তর:(b) NH3
6. অ্যামোনিয়াকে শুষ্ক করতে কোন পদার্থ ব্যবহার করা হয়
(a) CaO
(b) P2O5
(c) CaCl2
(d) H2SO4
উত্তর:(a ) CaO
7. লেড নাইট্রেট দ্রবণে H2S গ্যাস পাঠালে কোন বর্ণের অধক্ষেপ পড়ে?
(a) সাদা
(b) কালো
(c) লাল
(d) নীল
উত্তর:(b) কালো
8. পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট দ্রবণে H2S গ্যাস পাঠালে দ্রবণের বর্ণ কি হবে?
(a) সাদা
(b) লাল
(c) সবুজ
(d) নীল
উত্তর: (c ) সবুজ
9. বাতাসের কোন গ্যাসটির জন্য রুপোর গয়না কালো হয়ে যায়?
(a) H2S
(b) NH3
(c) N2
(d) SO2
উত্তর:(a) H2S
10. চোখের কর্নিয়া সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়
(a) NO
(b) H2S
(c) N2
(d) NO2
উত্তর:(c ) N2
11. নিচের কোন গ্যাসটি কিপযন্ত্রে প্রস্তুত করা যায় না?
(a) CO2
(b) H2S
(c ) H2
(d) HCl
উত্তর: (d) HCl
12. অয়েল অফ ভিট্রিয়ল কোন এসিডকে বলে?
(a) সালফিউরিক অ্যাসিড
(b) নাইট্রিক অ্যাসিড
(c) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
(d) সাইট্রিক অ্যাসিড
উত্তর: (a) সালফিউরিক অ্যাসিড
13. লা ব্ল্যাঙ্ক পদ্ধতিতে কোন এসিড তৈরি হয়
(a) H2SO4
(b) HCl
(c) HNO3
(d) H2CO3
উত্তর:(b)HCl
14. অম্লধর্মী গ্যাসটি হল
(a) NH3
(b) H2S
(c ) N2
(d) O2
উত্তর:(b)H2S
15. সালফান হলো
(a) 100% সালফিউরিক অ্যাসিড
(b) 100% নাইট্রিক অ্যাসিড
(c) 50% ওলিয়াম
(d) 100% ওলিয়াম
উত্তর:(d)100% ওলিয়াম
16. কোন পদার্থ দ্বারা অ্যামোনিয়াকে শুষ্ক করা হয়
(a) H2SO4
(b) CaCl2
(c) CaO
(d) P2O5
উত্তর:(c)CaO
17. হেবার পদ্ধতিতে কোন গ্যাস প্রস্তুত করা হয়
(a) হাইড্রোজেন
(b) নাইট্রোজেন
(c) হাইড্রোজেন সালফাইড
(d) অ্যামোনিয়া
উত্তর:(d) অ্যামোনিয়া
18. নিম্নলিখিত গুলির মধ্যে হাইড্রোজেন সালফাইড প্রস্তুতিতে কোনটি ব্যবহৃত হয়
(a) লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড
(b) গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড
(c) নাইট্রিক অ্যাসিড
(d) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
উত্তর:(a) লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড
19. কিপ যন্ত্রের সাহায্যে প্রস্তুত করা যায় নিম্নলিখিত কোনটি
(a) অক্সিজেন
(b) হাইড্রোজেন
(c) নাইট্রোজেন
(d) অ্যামোনিয়া
উত্তর:(b) হাইড্রোজেন
20. স্পর্শ পদ্ধতিতে অনুঘটক হিসেবে ব্যবহার করা হয়
(a) প্লাটিনাম রোডিয়াম তারজালি
(b) লৌহচূর্ণ অনুঘটক
(c) ভ্যানাডিয়াম পেন্টাক্সাইড
(d) তড়িৎস্ফুলিঙ্গ
উত্তর:(c) ভ্যানাডিয়াম পেন্টাক্সাইড
শূন্যস্থান পূরণ কর। : (মান –1) পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন: পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন
1. স্পর্শ পদ্ধতিতে সালফিউরিক অ্যাসিড প্রস্তুতিতে সালফার ডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেনের মিশ্রণ __________ হওয়া প্রয়োজন।
উত্তর:-বিশুদ্ধ
2. অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে অনুঘটক হিসেবে __________ ব্যবহার করা হয়।
উত্তর:- Pt-Rh তারজালি
3.1100°C উষ্ণতায় উত্তপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড এর সঙ্গে নাইট্রোজেনের বিক্রিয়ায়
____________ উৎপন্ন হয়।
উত্তর:-নাইট্রোলিম
4. ___________ বিক্রিয়ার সাহায্যে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে সনাক্ত করা হয়।
উত্তর:-সোডিয়াম নাইট্রোপ্রুসাইড এর সঙ্গে হাইড্রোজেন সালফাইডের (মেলিনের বিক্রিয়া)
5. কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন প্রস্তুতিতে __________ ব্যবহার করা হয়।
উত্তর:- ইউরিয়া
6. ক্ষারীয় পটাশিয়াম মারকিউরো আয়োডাইড নামক জটিল লবনের বর্ণহীন স্বচ্ছ জলীয় দ্রবণকে ___________ বলে।
উত্তর:-নেসলার বিকারক
7. তরল অ্যামোনিয়াকে __________ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
উত্তর:- হিমায়ক
8. নেসলার দ্রবণের মধ্য দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাসকে চালনা করলে দ্রবণের বর্ণ __________ হয়।
উত্তর:- বাদামি
9. CuCl3 এর সঙ্গে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন অধঃক্ষেপ এর বর্ণ ___________ হয়।
উত্তর:- সবুজ
10. 0.88 আপেক্ষিক গুরুত্ব বিশিষ্ট অ্যামোনিয়ার সম্পৃক্ত জলীয় দ্রবণকে ___________ বলে।
উত্তর: লাইকার অ্যামোনিয়া
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান –1) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন Inorganic Chemistry – প্রশ্ন উত্তর
1. অ্যামোনিয়া গ্যাসকে শুষ্ক করতে কোন পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: পোড়া চুন (CaO)
2. গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড অ্যামোনিয়া গ্যাসকে শুষ্ক করতে ব্যবহার করা হয় না কেন?
উত্তর: অ্যামোনিয়ার সাথে গাঢ় সালফিউরিক এসিড বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম সালফেট নামক লবণ তৈরি করে তাই সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করা যায় না ।
3. অ্যামোনিয়ার সংস্পর্শে লাল লিটমাস কোন বর্ণে পরিণত হয়?
উত্তর: অ্যামোনিয়া ক্ষারধর্মী বলে লাল লিটমাসকে নীল রঙে পরিণত করে।
4. অ্যামোনিয়া ঘটিত একটি অজৈব সারের নাম কর।
উত্তর: অ্যামোনিয়াম সালফেট
5. অ্যামোনিয়া ঘটিত একটি জৈব সারের নাম কর।
উত্তর: ইউরিয়া [CO(NH2)2]
6. স্মেলিং সল্ট (Smelling salt) কি?
উত্তর: অ্যামোনিয়াম কার্বনেট এবং ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর মিশ্রণ কে স্মেলিং সল্ট বলে।এটি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ব্যক্তির জ্ঞান ফেরাতে ব্যবহার করা হয়।
7. ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড দিয়ে অ্যামোনিয়াকে শুষ্ক করা যাবে কি?
উত্তর: না, অ্যামোনিয়া ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এর সাথে বিক্রিয়া করে একটি যুত যৌগ তৈরি করে।
8. ক্যালসিয়াম সায়নামাইড কে জলের সাথে বিক্রিয়া করালে কোন গ্যাস পাওয়া যায়?
উত্তর: অ্যামোনিয়া (NH3)
9. স্মেলিং সল্ট তৈরিতে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: অ্যামোনিয়া
10. একটি বিজারণ ধর্মী গ্যাসের নাম কর।
উত্তর: অ্যামোনিয়া
11. লাইকার অ্যামোনিয়া র আপেক্ষিক গুরুত্ব কত?
উত্তর: 0.88
12. কোন দুটি গ্যাসের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া তৈরি হয়?
উত্তর: হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন গ্যাস বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া তৈরি করে
13. নেসলার দ্রবণ অ্যামোনিয়ার সংস্পর্শে কোন রং ধারণ করে?
উত্তর: বাদামি
14. লাইকার অ্যামোনিয়াতে কত ভাগ অ্যামোনিয়া থাকে?
উত্তর: 35% অ্যামোনিয়া থাকে লাইকার অ্যামোনিয়াতে
15. অ্যামোনিয়া গ্যাসের শিল্প প্রস্তুতির পদ্ধতির নাম কি।
উত্তর: হেবার পদ্ধতি
16. দুটি গ্যাসের বিক্রিয়ায় একটি কঠিন পদার্থ সৃষ্টি হওয়ার উদাহরণ দাও।
উত্তর: অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস পরস্পর বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এর সাদা ধোয়া তৈরি করে। এই বিক্রিয়াটি দুটি গ্যাসের বিক্রিয়ায় একটি কঠিন পদার্থ সৃষ্টির উদাহরণ।
NH3 + HCl = NH4Cl
17.NH3 কে শুষ্ক করতে পোড়া চুন CaO ব্যবহার করা হয় কেন?
অ্যামোনিয়া ও পোড়া চুন উভয়েই ক্ষারীয় পদার্থ। তাছাড়াও পোড়াচুন হল জল শোষক পদার্থ। তাই উভয়ের মধ্যে বিক্রিয়া হয় না উপরন্ত জল শোষিত হয়।
18. ইউরিয়া তৈরিতে কোন গ্যাস কাজে লাগে?
উত্তর: অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড
19. লেড নাইট্রেট এর জলীয় দ্রবণে H2S গ্যাস পাঠালে যে কালো রঙের অধক্ষেপ পড়ে তার সংকেত কি?
উত্তর: PbS
20. H2S এর গন্ধ কেমন?
উত্তর: পচা ডিমের মতো
21. H2S কে শুষ্ক করতে কোন পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ফসফরাস পেন্ট অক্সাইড (P2O5)
22. কিপ যন্ত্রে তৈরি করা যায় এমন একটি গ্যাসের নাম করো।।
উত্তর: কিপযন্ত্রে তৈরি করা যায় এমন একটি গ্যাসের নাম হল H2S
23.বায়ুতে উপস্থিত কোন গ্যাস রুপোর জিনিসকে কালো করে?
উত্তর: H2S
24. অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইট NH4NO2 কে উত্তপ্ত করলে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?
উত্তর: নাইট্রোজেন
25. জ্বলন্ত ম্যাগনেসিয়ামের সাথে নাইট্রোজেন গ্যাসের বিক্রিয়া য় কোন পদার্থ তৈরি হয়?
উত্তর: ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রাইড Mg3N2
26. নাইট্রোলিম কি?
উত্তর: নাইট্রোলিম এক প্রকারের নাইট্রোজেন ঘটিত সার। ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড ও কার্বনের মিশ্রণকে নাইট্রোলিম বলে।
27. তরল অ্যামোনিয়া কি কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: হিমায়ক রূপে
28. বজ্রপাতের সময় নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে কোন গ্যাস তৈরি করে?
উত্তর: নাইট্রিক অক্সাইড
29. কোন পদ্ধতিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের শিল্প উৎপাদন করা হয়?
উত্তর: লা ব্ল্যাংক পদ্ধতিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন করা হয়
30. নাইট্রিক এসিডের শিল্প প্রস্তুতিতে কোন অনুঘটক ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: প্লাটিনাম তারজালি
31. কোন এসিড থেকে বাদামী রঙের গ্যাস নির্গত হয়?
উত্তর: ধুমায়মান নাইট্রিক এসিড থেকে।
32. ধূমায়মান নাইট্রিক এসিড থেকে যে গ্যাস নির্গত হয় তার নাম কি?
উত্তর: নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2)
33. ওলিয়াম এর রাসায়নিক নাম কি?
উত্তর: পাইরো সালফিউরিক অ্যাসিড
34. কোন অনুঘটক সালফার ডাই অক্সাইড কে সালফার ট্রাইঅক্সাইডে জারিত করে?
উত্তর: V2O5 অর্থাৎ ভেনাডিয়াম পেন্টঅক্সাইড
35. নাইট্রোজেন ঘটিত দুটি সারের নাম কর।
উত্তর: ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম সালফেট
36. বিলীয়মান রং কি?
উত্তর: অ্যামোনিয়া যুক্ত ফিনোলফথালিন এর জলীয় দ্রবণকে বিলীয়মান রং বলে।
37. অ্যামোনিয়াকে সনাক্ত করতে কোন দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।
উত্তর:অ্যামোনিয়াকে সনাক্ত করতে নেসলার বিকারক ব্যবহার করা হয়
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2/3 ) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর (অধ্যায়-৮.৪) – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন Inorganic Chemistry
1. ধূমায়মান নাইট্রিক এসিড কি?
উত্তর:
2. দুটি গ্যাসের বিক্রিয়ায় একটি কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হয় গ্যাস গুলির নাম ও সমীকরণসহ লেখ।
উত্তর: অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন করে
NH3+HCl=NH4Cl
3.H2S কে শুষ্ক করতে পোড়া চুন ব্যবহার করা হয় না কেন?
উত্তর: H2S এসিড ধর্মী গ্যাস তাই পোড়া চুনের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ তৈরি করে।
4. নাইট্রোজেনের রাসায়নিক সক্রিয়তা অনেক কম কেন?
উত্তর: নাইট্রোজেন অনুতে দুটি নাইট্রোজেন পরমাণু পরস্পর সমযোজী ত্রিবন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে। এই বন্ধন অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় সহজে পরমাণুতে পরিণত হয় না। তাই বিক্রিয়াও করেনা।
5. ম্যাগনেসিয়াম কে নাইট্রোজেন গ্যাসের আবহাওয়া উত্তপ্ত করা হলো কি ঘটবে বিক্রিয়াসহ লেখ?
উত্তর: উত্তপ্ত ম্যাগনেসিয়াম ধাতুর সাথে নাইট্রোজেন গ্যাস বিক্রিয়া করে ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রাইড তৈরি করে।
3Mg+N2=Mg3N2
ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রাইড এ জল যোগ করলে অ্যামোনিয়ার গন্ধ পাওয়া যায়
Mg3N2+6H2O =3Mg(OH)2+2NH3
6. নাইট্রোলিম কি? কিভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর: 1100°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড এর উপর দিয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস পাঠালে, ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড ও কার্বনের ধূসর মিশ্রণ উৎপন্ন হয়। এই মিশ্রণকেই নাইট্রোলিম বলে। নাইট্রোলিম নাইট্রোজেন ঘটিত সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
CaC2+N2=CaNCN +C
7. অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে গাঢ় H2SO4 ব্যবহার করা যায় না কেন?
উত্তর: এমোনিয়া ক্ষারধর্মী গ্যাস H2SO4 একটি অ্যাসিড তাই বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম সালফেট নামক লবণ তৈরি করে
2NH3+H2SO4=(NH4)2SO4
8. অ্যামোনিয়াকে জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয় না কেন?
উত্তর: এমোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রাব্য এসটিপিতে এক আয়তন জলে প্রায় ১১৫০ আয়তন এমোনিয়া দ্রবীভূত হতে পারে তাই জলের অপসারণ দ্বারা অ্যামোনিয়াকে সংগ্রহ করার চেষ্টা করলে অ্যামোনিয়া জলে দ্রবীভূত হয়ে যায় তাই কোন গ্যাস পাওয়া যায় না। এই কারণে অ্যামোনিয়াকে জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা যায় না।
9. তরল অ্যামোনিয়া কাকে বলে?
উত্তর: অ্যামোনিয়াকে সহজেই তরলে পরিণত করা যায়। 10°C তাপমাত্রায় 6 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে অ্যামোনিয়া বর্ণহীন তরলে পরিণত হয়।
10. লাইকার এমোনিয়া কি?
উত্তর: 0.88 আপেক্ষিক গুরুত্ব বিশিষ্ট অ্যামোনিয়ার সম্পৃক্ত জলীয় দ্রবণকে লাইকার অ্যামোনিয়া বলে। লাইকার এমনি আয় ৩৫% অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত থাকে।
11. লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতল ঠান্ডা করে খোলা উচিত কেন?
উত্তর: লাইকার অ্যামোনিয়া বোতলে উচ্চচাপে এমোনিয়া দ্রবীভূত থাকে তাই হঠাৎ ছিপি খুললে অ্যামোনিয়া ছিটকে এসে চোখে লাগতে পারে এবং চোখের ক্ষতি হতে পারে তাই বোতলটিকে ঠান্ডা করে খোলা হয়। যাতে কিছুটা অ্যামোনিয়া পুনরায় দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের চাপ কমে।
12. বিলীয়মান রং কি? কেন একে বিলীয়মান রং বলে?
উত্তর: অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী। এই দ্রবণে ফেনলফথ্যালিন যোগ করলে দ্রবনটির বর্ণ গোলাপী বা হালকা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে। সাদা কাপড়ে ছিটিয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের বর্ণ গোলাপি বা হালকা বেগুনি হয়ে যায়। কিন্তু এমনিয়া উদ্বায়ী গ্যাস তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই উবে যায়। প্রশম দ্রবণে ফিনালফথ্যালিন বর্ণহীন তাই গোলাপি রঙ বিলীন হয়ে কাপড়টি আবার সাদা হয়ে যায়। তাই একে বিলীয়মান রং বলে।
13. নেসলার বিকারক কি? কিভাবে নেসলার বিকারকের সাহায্যে অ্যামোনিয়াকে সনাক্ত করা যায়?
উত্তর: ক্ষারীয় পটাশিয়াম মারকিউরো আয়োডাইড এর স্বচ্ছ জলীয় দ্রবণকে নেসলার বিকারক বলে। নেসলার বিকারকের সংকেত হলো K2HgI4
এমোনিয়া নেসলার বিকারকের সংস্পর্শে এলে বাদামি বর্ণ ধারণ করে। বেশি পরিমাণে অ্যামোনিয়া চালনা করলে গারো বাদামি রঙের অধ:ক্ষেপ উৎপন্ন হয়। এই বিক্রিয়ার সাহায্যে অ্যামোনিয়া গ্যাস কে সনাক্ত করা যায়।
14. অ্যামোনিয়ার প্রধান শিল্প ব্যবহার লেখো।
1.অ্যামোনিয়ার প্রধান ব্যবহার সার প্রস্তুতিতে যেমন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ইউরিয়া প্রভৃতি নাইট্রোজেন ঘটিত সার তৈরিতে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়।2. অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে নাইট্রিক এসিড প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়।
3. বরফ তৈরির কারখানা এবং কোল্ডস্টোরে হিমায়ক রূপে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়।
15. ইউরিয়ার কয়েকটি ব্যবহার লেখো।
1. নাইট্রোজেন ঘটিত সার হিসেবে ইউরিয়া ব্যবহার করা
2.মেলামাইন প্রস্তুতিতে ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়।
3. কালা জ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামিন তৈরিতে ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়। 4. ঘুমের ওষুধ বার্বি টিউরেট তৈরিতে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয়।
16. রুপোর তৈরি জিনিস বা পুরনো তৈল চিত্রের রং ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায় কেন?
উত্তর: বাতাসে সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস থাকে। এই গ্যাস রুপোর সাথে বিক্রিয়া করে সিলভার সালফাইডের কালো রঙের পদক্ষেপ তৈরি করে। আর পুরনো তৈলচিত্রে লেড বা সিসা থাকে। এর সাথে বিক্রিয়া করে লেড সালফাইডের কালো আস্তরণ তৈরি করে। তাই রুপোর জিনিস এবং পুরনো তৈলচিত্র ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর: (মান – 2/3 ) Madhyamik Physical Science Suggestion – পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর (অধ্যায়-৮.৪) – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন Inorganic Chemistry
1. এমোনিয়া র দুটি ভৌত ধর্ম উল্লেখ করো, যার সাহায্যে একে নাইট্রোজেনের সঙ্গে পার্থক্য করা যায়?
উত্তর: এমোনিয়া ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত গ্যাস এবং স্বাদে সামান্য কষা অর্থাৎ ক্ষারের বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও এমোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রব্য কিন্তু অন্যদিকে নাইট্রোজেন গন্ধহীন, গ্যাস, স্বাদহীন গ্যাস, জলে নাইট্রোজেনের দ্রাব্যতা খুব কম।
2. পরীক্ষাগারে এমনিয়া প্রস্তুতিতে ক্ষার হিসাবে NaOH এর চেয়ে CaO বেশি পছন্দ করা হয় কেন?
উত্তর: NaOH এর সাথে অ্যামোনিয়াম লবণের বিক্রিয়ায় যে অ্যামোনিয়াম সালফেট উৎপন্ন হয় সেটি বিক্রিয়া পাত্রের গায়ে আটকে যায় সহজে পাত্র থেকে একে আলাদা করা যায় না। কিন্তু CaO ব্যবহার করলে জলে দ্রাব্য ক্যালসিয়াম সালফেট তৈরি হয়।
3. প্রমাণ কর অ্যামোনিয়ার বিজারণ ধর্ম আছে।
উত্তর: বিশেষ অবস্থায় অ্যামোনিয়া বিজারণ ধর্ম দেখায়। তীব্রভাবে উত্তপ্ত ধাতব অক্সাইডের উপর দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস পাঠালে এটি ধাতব অক্সাইডকে বিজারিত করে ধাতু তে পরিণত করে এবং নিজে নাইট্রোজেনে জারিত হয়।
3CuO+ 2NH3=3Cu+3H2O+N2
4. অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির সতর্কতা গুলি লেখ।
উত্তর: এমোনিয়া প্রস্তুতির সতর্কতা
1. বিক্রিয়কগুলিকে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে বিক্রিয়া দ্রুত ঘটবে
2. গ্যাস যাতে সহজে বের হতে পারে তাই ফ্লাক্সের অর্ধেক খালি রাখা উচিত।
3. ভালো করে কর্ক দিয়ে ফ্লাক্সের মুখ বন্ধ করতে হবে যাতে অ্যামোনিয়া ঘরের বাতাসে মিশতে না পারে
5. উত্তপ্ত কিউপ্রিক অক্সাইডের উপর দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস পাঠালে কি ঘটবে?
উত্তর: উত্তপ্ত কিউপ্রিক অক্সাইডের উপর দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস পাঠালে এটি কিউপ্রিক অক্সাইড কে বিজারিত করে ধাতব কপালে পরিণত করে এবং নিজে নাইট্রোজেনে জারিত হয়
3CuO+ 2NH3=3Cu+3H2O+N2
6. অ্যামোনিয়া গ্যাসকে কিভাবে শনাক্ত করা যায়?
উত্তর: অ্যামোনিয়া সনাক্তকরণ
ভৌত ধর্ম: অ্যামোনিয়া ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত গ্যাস
রাসায়নিক ধর্ম: নেসলার বিকারক এমোনিয়া সংস্পর্শে এলে তামাটে রঙের অদক্ষেপ তৈরি করে
7. পরীক্ষাগারে H2S প্রস্তুতির সময় গাঢ় H2SO4 বা গাঢ় HNO3 ব্যবহার করা হয় না কেন?
উত্তর:
H2S প্রস্তুতিতে গাঢ় H2SO4 ব্যবহার না করার কারণ:
গাঢ় H2SO4 জারক অ্যাসিড তাই এটি বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হাইড্রোজেন সালফাইড কে সালফারে জারিত করে এবং নিজে সালফার ডাই অক্সাইডে বিজারিত হয়।
FeS+H2SO4=FeSO4+H2S
H2S+H2SO4=S+SO2+2H2O
H2S প্রস্তুতিতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহার না করার কারণ :
নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) একটি জারক এসিড তাই উৎপন্ন হাইড্রোজেন সালফাইডকে সালফার এ জারিত করে ও নিজে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এর বিজারিত হয়
FeS+2HNO3=Fe(NO3)2+H2S
H2S+2HNO3=S+2NO2+2H2O
8. পরীক্ষাগারে নাইট্রোজেন প্রস্তুতিতে নিচের বিষয়গুলি উল্লেখ কর:
a. প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য
b. বিক্রিয়া নীতি
c. বিক্রিয়ার সমীকরণ
উত্তর: a.পরীক্ষাগারে নাইট্রোজেন প্রস্তুতিতে নিম্নলিখিত রাসায়নিক গুলি লাগে
সোডিয়াম নাইট্রাইট (NaNO2), অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl)
b. পরীক্ষাগারে সোডিয়াম নাইট্রাইট এবং অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এর গাঢ় জলীয় দ্রবণকে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত করলে প্রথমে এমোনিয়াম নাইট্রাইট এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়। এইভাবে উৎপন্ন এমোনিয়াম নাইট্রাইট তাপের প্রভাবে ভেঙে গিয়ে নাইট্রোজেন ও জল তৈরি করে
c.NH4Cl +NaNO2=NH4NO2+NaCl
NH4NO2=N2+2H2O
9. কিভাবে বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন মাটিতে আসে?
উত্তর: বজ্রপাতের সময় প্রায় 3000°C উষ্ণতায় বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন পরস্পর বিক্রিয়া করে বর্ণহীন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করে
N2+O2=2NO
উৎপন্ন নাইট্রিক অক্সাইড বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এ পরিণত হয়।
2NO+O2=2NO2
উৎপন্ন নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড বৃষ্টির জলের সাথে যুক্ত হয়ে নাইট্রাস অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিডে পরিণত হয়ে মাটিতে নেমে আসে।
2NO2+H2O=HNO3+HNO2
এই এসিড গুলি মাটিতে উপস্থিত বিভিন্ন ক্ষার বা ক্ষারক এবং লবণ এর সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন ধরনের নাইট্রেট লবণ তৈরি করে।
CaCO3+2HNO3=Ca (NO3)2+CO2+H2O
10. পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ কর:
প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য, শর্ত, বিক্রিয়ার সমীকরণ, গ্যাসের শুষ্ককরন ও সংগ্রহ
উত্তর: (i). অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য: অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl) ও শুষ্ক কলিচুন (Ca(OH)2) অথবা পোড়াচুন (CaO)
(ii). অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির শর্ত: একভাগ ওজনের অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এর সঙ্গে তিনভাগ ওজনের শুষ্ক কলিচুন অথবা পোড়া চুন ভালো করে মিশিয়ে উত্তপ্ত করে অ্যামোনিয়া তৈরি করা হয়।
(iii). অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির বিক্রিয়ার সমীকরণ:
2NH4Cl+Ca(OH)2=CaCl2+2H2O+2NH3
2NH4Cl+CaO=CaCl2+H2O+2NH3
(iv). অ্যামোনিয়া গ্যাসের শুষ্ককরণ:
বিক্রিয়ায় উৎপন্ন অ্যামোনিয়া গ্যাসের সঙ্গে জলীয় বাষ্প মিশ্রিত থাকে এই জলীয় বাষ্পযুক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস কে পোড়া চুনের মধ্য দিয়ে পাঠালে শুষ্ক অ্যামোনিয়া গ্যাস পাওয়া যায়।
(v) অ্যামোনিয়া গ্যাসের সংগ্রহ: অ্যামোনিয়া গ্যাস বায়ুর থেকে হালকা হওয়ায় চুনস্তম্ভ থেকে নির্গত শুষ্ক অ্যামোনিয়া গ্যাস কে বায়ুর নিম্ন অপসারণ দ্বারা গ্যাসজারে সংগ্রহ করা হয়।
11. এমোনিয়া গ্যাসকে শুষ্ক করতে গাঢ় H2SO4 ব্যবহার করা যায় না কেন?
উত্তর: এমোনিয়া ক্ষারধর্মী গ্যাস আর H2SO4 হল অ্যাসিড তাই এরা বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম সালফেট তৈরি করে
2NH3+H2SO4=(NH4)2SO4
12. হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়ার শিল্প উৎপাদন পদ্ধতিটি লেখ।
উত্তর: এক আয়তন বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন এবং তিন আয়তন বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন গ্যাসের মিশ্রণ কে ২০০ বায়ুমন্ডলীয় চাপে এবং ৫৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় লৌহচূর্ণ অনুঘটক এবং মলিবডেনাম চূর্ণ উদ্দীপকের ওপর দিয়ে চালনা করে হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়া তৈরি করা হয়।
N2+3H2=2NH3
13. অ্যামোনিয়া থেকে কিভাবে ইউরিয়া প্রস্তুত করা হয়?
150-200 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে 200°C তাপমাত্রায় 3:1 ওজন অনুপাতে তরল অ্যামোনিয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের বিক্রিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ইউরিয়া তৈরি করা হয়।
এই বিক্রিয়াটি দুটি ধাপে ঘটে:
প্রথম ধাপে 150-200 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে 200°C তাপমাত্রায় তরল অ্যামোনিয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইড এর বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়াম কার্বামেট উৎপন্ন হয়।
CO2+2NH3=NH2COONH4
দ্বিতীয় ধাপে অ্যামোনিয়াম কার্বামেট বিয়োজিত হয়ে ইউরিয়া তৈরি করে।
NH2COONH4=NH2CONH2+H2O
14. পরিবেশে কোথাও অ্যামোনিয়া নির্গত হলে কি সাবধানতা নেওয়া উচিত?
উত্তর: 1. এমোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রব্য। তাই চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিতে হবে।
2. জলে ভেজানো রুমাল বা তোয়ালে দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে
3. খুব দ্রুত সেই জায়গা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে
আরোও দেখো :-
আরোও দেখো :-
আরোও দেখো :-
আরোও দেখো:-
আরোও দেখো:-
WBBSE Class 10th Physical Science | মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান – পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর
WBBSE Class 10th Physical Science (মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান) – পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” Madhyamik Physical Science Suggestion –পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন – প্রশ্ন উত্তর | (অধ্যায়-৪) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই ওয়েবসাইটের পাশে থাকো । যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।
- 5.1 ভারত: অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ | Class 10 Geography Short Question and Answer 2025
- চক্রপাণি দত্ত: কিংবদন্তী চিকিৎসক ও পণ্ডিত
- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের EWS সার্টিফিকেট পাওয়ার পদ্ধতি | EWS Certificate West Bengal Criteria | EWS সার্টিফিকেট কি এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
- ধাতুবিদ্যা দশম শ্রেণী – প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion ভৌত বিজ্ঞান দশম শ্রেণী
- তড়িৎ প্রবাহ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া – প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Physical Science Suggestion ভৌত বিজ্ঞান দশম শ্রেণী
- মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবাহমানতা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science Question and Answer