চারুচন্দ্র দত্ত: ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিস্মরণীয় যোদ্ধা

Charu Chandra Datta
Charu Chandra Datta

Table of Contents

Charu Chandra Datta in Bengali |চারুচন্দ্র দত্তের জীবনী

জন্ম: ১৮৭৬ সাল

মৃত্যু: ১৯৫২ সাল

বর্ধমান জেলার এক স্বাধীনতা সংগ্রামী হলেন চারুচন্দ্র দত্ত। কোচবিহারের মহারাজার দেওয়ান ছিলেন তার পিতা। তাই বর্ধমানে বাড়ি হলেও চারুচন্দ্র দত্তের পড়াশোনা কোচবিহারের জেনকিন স্কুলে এবং পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্সি কলেজে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর পিতার আদেশে সিভিলিয়ন হওয়ার জন্য বিলেত যান। সেখানে আই.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। এবং বোম্বাইয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। 

চারুচন্দ্র দত্তের অবদান | চারুচন্দ্র দত্ত বাংলা | বিপ্লবী চারুচন্দ্র দত্ত: জীবনী ও সংগ্রাম

এরপর ১৯০২ সালে তার জীবনের গতিধারা বদলে যায় অরবিন্দ ঘোষের সাথে আলাপে। প্রথম পরিচয় এই অরবিন্দ ঘোষ বুঝতে পারেন একজন আই. সি. এস অফিসার হলেও চারুচন্দ্র মনেপ্রাণে একজন স্বদেশপ্রেমী মানুষ। অরবিন্দ ঘোষ কলকাতায় আসার পর চারুচন্দ্রের সাথে তার যোগাযোগ আরো বাড়ে । স্বদেশী আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে থেকেই অরবিন্দ ঘোষ এবং চারুচন্দ্র দত্ত খুব ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন। 

অরবিন্দ ঘোষ, চারুচন্দ্র দত্ত এবং সুবোধ বসু মল্লিক এই তিন জনের নেতৃত্বে যুগান্তর দল নানান বিপ্লবী কাজকর্ম করতে থাকে। তাদের একসাথে বলা হতো বিপ্লবী কাউন্সিল। অত্যাচারী কিংসফোর্ড কে হত্যা করার পরিকল্পনাও তাদেরই গোপন নির্দেশে হয়েছিল।

ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য: বিপ্লবী চারুচন্দ্র দত্তের জীবন

তবে একজন সিভিলিয়ান হয়েও গোপনে বিপ্লবী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের নজর এড়াতে পারলেন না। ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা মামলায় অরবিন্দ ঘোষ গ্রেপ্তার হলে তার সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে চারুচন্দ্র দত্ত পুলিশের সন্দেহের তালিকায় আসেন।

তাই সরকারি পদ থেকে তাকে সরিয়ে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। তখনকার দিনের আই.সি.এস এর মত পরীক্ষায় পাশ করা বড় সরকারি পদ ত্যাগ করে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া এই মহান বিপ্লবী  খুব কমই দেখা যায়।

চারুচন্দ্র দত্ত কে ছিলেন? জানুন তার বিপ্লবী জীবন

বিপ্লবী চারুচন্দ্র দত্ত ছিলেন একজন ভালো লেখক। ‘পরিচয়’ নামক একটি পত্রিকার সূচনা করেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কার্যকাল নির্বাহ করেন। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংস্পর্শে ছিলেন।

অরবিন্দ ঘোষের লেখাগুলির বঙ্গানুবাদ এবং তার ব্যাখ্যা তার মত কেউ করতে পারেনি। ১৯৪০ সালের পর থেকে পন্ডিচেরিতে অরবিন্দ ঘোষের আশ্রমে ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এখানেই অতিবাহিত করেন। 

সূত্র: অধ্যাপক রাখালচন্দ্র নাথ

🅵🅰🆀

Q.1: চারুচন্দ্র দত্তের জন্ম এবং মৃত্যু কখন?

Ans: চারুচন্দ্র দত্তের জন্ম ১৮৭৬ সালে এবং মৃত্যু ১৯৫২ সালে।

Q.2: চারুচন্দ্র দত্তের শিক্ষাজীবন কেমন ছিল?

Ans: তিনি কোচবিহারের জেনকিন স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

Q.3: তিনি কবে স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হন?

Ans: ১৯০২ সালে অরবিন্দ ঘোষের সাথে পরিচয়ের পর তার জীবন পরিবর্তিত হয় এবং তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হন।

Q.4: চারুচন্দ্র দত্তের প্রধান অবদান কী ছিল?

Ans: তিনি যুগান্তর দলের নেতা ছিলেন এবং সরকারের অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত ছিলেন

Q.5: কেন তিনি পুলিশের নজরে এসেছিলেন?

Ans: ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা মামলার কারণে অরবিন্দ ঘোষের সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে তাকে সন্দেহ করা হয়

Q.6: চারুচন্দ্র দত্তের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানান।

Ans: তিনি ‘পরিচয়’ নামক পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং অরবিন্দ ঘোষের লেখার বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা করেন।

Q.7: তিনি কবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছিলেন?

Ans: ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছিলেন।

Q.8: চারুচন্দ্র দত্তের শেষ দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছেন?

Ans: তিনি পন্ডিচেরির অরবিন্দ ঘোষের আশ্রমে ছিলেন এবং সেখানে জীবনের শেষ দিনগুলি অতিবাহিত করেন।

Leave a Comment