
Madhyamik Physical Science Suggestion (মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন – আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই Madhyamik Physical Science Suggestion (মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন) – আলো (অধ্যায়-৫) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগামী West Bengal Madhyamik Physical Science Examination পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন MCQ: বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
1. ENT ডাক্তাররা কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন (a) সমতল (b) অবতল (c ) উত্তল(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (c ) অবতল
2. মোটর গাড়ির হেডলাইটে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয় (a) সমতল (b) উত্তল (c ) অবতল (d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (c ) অবতল
3. বস্তুর থেকে আকারে বড় অসৎবিম্ব তৈরি করতে কোন ধরনের দর্পণ লাগে (a) সমতল (b) অবতল (c ) উত্তল (d) কোনোটিই নয়
উত্তর: অবতল দর্পণ
4. দীর্ঘ দৃষ্টির প্রতিকারের জন্য ব্যবহৃত হয় যে লেন্স (a) উত্তল লেন্স (b) অবতল লেন্স (c ) উত্তল দর্পণ (d) অবতল দর্পণ
উত্তর: (a) উত্তল লেন্স
5. স্বল্পদৃষ্টির কারণ (a) অক্ষিগোলকের আকার বড় হয়ে যাওয়া (b) অক্ষিগোলকের আকার ছোট হয়ে যাওয়া (c ) ফোকাস দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়া (d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (b) অক্ষিগোলকের আকার ছোট হয়ে যাওয়া
6. লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে প্রতিসরণ কোণের মান (a)0° (b) 30° (c )60° (d)90°
উত্তর: 0°
7. সবুজ কাঁচের মধ্য দিয়ে একটি লাল ফুলকে দেখলে (a) লাল দেখায় (b) নীল দেখায় (c ) বেগুনি দেখায় (d) কালো দেখায়
উত্তর: (d) কালো দেখায়
8. প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলো যাওয়ার সময় কোন বর্ণের চ্যুতি সবথেকে বেশি (a) কমলা (b) সবুজ (c ) হলুদ (d) নীল
উত্তর: (d) নীল
9. একটি প্রিজমের প্রতিসারক তলের সংখ্যা (a)3 (b) 2 (c )4 (d) 5
উত্তর: (a) 3
10. লেন্সের আলোক কেন্দ্রগামী রশ্মির বিচ্যুতি (a)0° (b)30° (c )60° (d)100°
উত্তর: (a) 0°
11. নিচের তরঙ্গ গুলোর মধ্যে সবথেকে কম কোনটি (a) গামা রশ্মি (b) এক্স রশ্মি (c ) অতিবেগুনি রশ্মি (d) অবলোহিত রশ্মি
উত্তর: (a) গামা রশ্মি
12. একটি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে কোনো বস্তু রাখলে প্রতিবিম্বে রৈখিক বিবর্ধন হবে (a)2 (b)3 (c )1 (d)0
উত্তর: (c ) 1
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
1. গোলীয় দর্পণের মেরু বলতে কী বোঝো?
উত্তর: গোলীয় দর্পণের মধ্যবিন্দু কে মেরু বলে।
2. কোন গোলীয় দর্পণে লাল আলোর পরিবর্তে হলুদ আলো ফেলা হলো। ফোকাস দৈর্ঘ্যের কি পরিবর্তন হবে?
উত্তর: ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন হবে না
3. f ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি অবতল দর্পণকে জলে (প্রতিসরাঙ্ক 4/3) নিমজ্জিত করা হলো, ফোকাস দৈর্ঘ্যের কি পরিবর্তন হবে?
উত্তর: ফোকাস দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকবে
4. স্ট্রীট ল্যাম্পের প্রতিফলক হিসেবে কি ধরনের দর্পণ ব্যবহার করবে?
উত্তর: উত্তল দর্পণ
5. দাড়ি কামানোর দর্পণ হিসেবে কোন দর্পণ ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর: অবতল দর্পণ
6. অবতল দর্পণ কখন কোন বস্তুর সমান আকৃতির প্রতিবিম্ব তৈরি করে?
উত্তর: বস্তু দর্পণটির বক্রতা কেন্দ্রে থাকলে
7. মোটর গাড়ির ভিউফাইন্ডার এ কোন দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: উত্তল দর্পণ
8. অবতল দর্পণের প্রধানককে সমান্তরালে কোন আলোকরশ্মি পড়লে প্রতিফলনের পর কোন পথে যায়?
উত্তর: ফোকাস বিন্দুর মধ্য দিয়ে যায়
9. অবতল দর্পণ কখন সম শীর্ষ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব তৈরি করে?
উত্তর: বস্তুটি দর্পণটির ফোকাস দূরত্বের মধ্যে থাকলে
10. একটি সমতল দর্পণের বিবর্ধনের মান কত?
উত্তর: সমতল দর্পণে বিবর্ধন সর্বদা 1
11. কোন দর্পণে বস্তুর তুলনায় ছোট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।?
উত্তর: উত্তল দর্পণ
12. কোন আলোকরশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণের মান কত?
উত্তর: 0°
13. কোন মাধ্যমে আলোর গতিবেগ সবচেয়ে বেশি?
উত্তর: শূন্য মাধ্যমে
14. অবতল দর্পণের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখ।
উত্তর: দন্ত চিকিৎসকরা এই দর্পণ ব্যবহার করেন
15. একটি প্রিজমের আয়তাকার তলের সংখ্যা কটি?
উত্তর: তিনটি
16. কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের একক কি?
উত্তর: প্রতিসরাঙ্কের কোন একক নেই
17. আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘণ মাধ্যমে গেলে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে কোনটি বড়?
উত্তর: আপতন কোণের মান বড়
18. মরীচিকা সদ বিম্ব না অসদ বিম্ব?
উত্তর: অসদ বিম্ব
19. বিবর্ধক কাচরূপে কোন প্রকারের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: উত্তল লেন্স
20. বস্তুর কোন অবস্থানে উত্তল লেন্স অসদ বিম্ব তৈরি করে?
উত্তর: আলোককেন্দ্র ও প্রকাশের মধ্যে বস্তু থাকলে
21. কোন লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছ কে অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছে পরিণত করে?
উত্তর: অবতল লেন্স
22. উত্তল লেন্স দ্বারা গঠিত সূর্যের প্রতিবিম্ব লেন্সের সাপেক্ষে কোথায় তৈরি হবে?
উত্তর: ফোকাসে
23. একটি উত্তল লেন্সকে জলে ডোবালে ফোকাস দূরত্বের কি পরিবর্তন হবে?
উত্তর: ফোকাস দৈর্ঘ্য বাড়বে
24. লেন্সের ক্ষমতার একক কি?
উত্তর: ডায়াপটার
25. একটি উত্তল লেন্সের ফোকাসে বস্তু রাখলে বিবর্ধনের মান কত?
উত্তর: অসীম
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
1.উপাক্ষীয় রশ্মি কাকে বলে?
উত্তর: যেসব আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের খুব কাছ দিয়ে গিয়ে লেন্সের উপরে আপতিত হয় তাদের উপাক্ষীয় রশ্মি বলে
2. উত্তল দর্পণের ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর: প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশিগুচ্ছ দর্পনে আপতিত হবার পর প্রধান অক্ষের উপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় তাকে ফোকাস বলে।
3. মোটর গাড়ির হেডলাইটে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয় ও কেন?
উত্তর: মোটর গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। অবতল দর্পণ ব্যবহার করলে আলোকরশ্মি অনেক দূর পর্যন্ত যায়।
4. সদবিম্ব কাকে বলে?
উত্তর: কোন বিন্দু উৎস থেকে আগত অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছ প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর যদি কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় তবে দ্বিতীয় বিন্দু টিকে প্রথম বিন্দুর সদ বিম্ব বলে।
5. অসদ বিম্ব কাকে বলে?
উত্তর: কোন বিন্দু উৎস থেকে আগত অবসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছ প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর যদি কোন বিন্দুতে নাম মিলিত হয়ে কোন বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। তবে দ্বিতীয় বিন্দু থেকে প্রথম বিন্দুর অসদ বিম্ব বলে।
6. আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তর: আলোকরশ্মি কোন সমসত্ব,স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে ভিন্ন আলোকীয় ঘনত্বের অপর একটি সমসত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের উপর তির্যকভাবে আপতিত হয় তবে দুই মাধ্যমের বিভেদ তল থেকে ওই আলোকরশ্মির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে,
দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোকরশ্মির অভিমুখের এই পরিবর্তন ঘটা কে আলোর প্রতিসরণ বলে।
7. আলোর প্রতিসরণে স্নেলের সূত্রটি কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় ও কেন?
উত্তর: লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যে ক্ষেত্রে আপতন কোণের মান ০ ডিগ্রি সেক্ষেত্রে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য নয়। কারণ এক্ষেত্রে Sin0°/ Sin0° অর্থাৎ অসংজ্ঞাত
8. কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে? মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক ও কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তর: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ এবং অন্য কোন মাধ্যমের আলোর বেগের অনুপাত কে মাধ্যমটির প্রতিসরাঙ্ক বলে।
মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক আপতিত আলোর বর্ণ এবং মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে
9. কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক একের বেশি হতে পারে কি? যুক্তি দাও
উত্তর: শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ ও কোন মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত কে সেই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে। শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগের চেয়ে অন্য কোন মাধ্যমে আলোর বেগ বেশি হতে পারে না অর্থাৎ প্রতিসরাঙ্কের মান একের থেকে ছোট হতে পারেনা
10. আলোকরশ্মি ঘনমাধ্যম থেকে লঘুমাধ্যমে প্রবেশ করলে দিকের পরিবর্তন কিভাবে হবে?
উত্তর: আলোকরশ্মি ঘনমাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে আপতন কোণের চেয়ে প্রতিসরণ কোনের মান বেশি হবে। অর্থাৎ প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যাবে।
11. সমান্তরাল কাচ ফলকে আলোকরশ্মির প্রতিসরণের ফলে চুতি হয় না কেন?
উত্তর: সমান্তরাল কাচ ফলকে আলোকরশ্মি একটি তলে লঘু মাধ্যম থেকে ঘনমাধ্যমে প্রবেশ করে, ওপর তলে ঘনমাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসৃত হয়। তাই এক্ষেত্রে আপতিত রশ্মি প্রতিসৃত রশ্মির সমান্তরাল হয়।
রশ্মি দুটি সমান্তরাল হলেও এদের মধ্যে কিন্তু পার্শ্ব সরণ ঘটে।
12. প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মির উত্তর: প্রতিসরণ হলে চুতি কোণের মান কত?
প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি প্রতিসৃত হলে চুতি কোণের মান δ= i1+i2 -A
13. কোন শর্তে প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মির চুতি সর্বনিম্ন হয়?
উত্তর: যে ক্ষেত্রে আপতন কোণ ও নির্গমন কোণ সমান সে ক্ষেত্রে চুতি কোণের মান সর্বনিম্ন হয়।

14. উত্তল ও অবতল লেন্স কাকে বলে?
উত্তর: যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা কিন্তু দু প্রান্ত ক্রমশো সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে এবং যে লেন্সের মধ্যভাগ সরু কিন্তু দু প্রান্ত মোটা তাকে অবতল লেন্স বলে।
15. লেন্সের আলোককেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর: আলোকরশ্মি লেন্সের কোন একটি তলে আপতিত হয়ে লেন্সের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের পর দ্বিতীয় তল থেকে আপতিত রশ্মির সমান্তরালভাবে নির্গত হলে লেন্সের মধ্য দিয়ে ঐ রশ্মির গতিপথ প্রধান অক্ষকে যে বিন্দুতে ছেদ করে তাকে আলোক কেন্দ্র বলে।
16. লেন্সের মুখ্য ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর: প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছ লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের উপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল লেন্স) অথবা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে (অবতল লেন্স) বলে মনে হয় সেই বিন্দুটিকে প্রধান বা মুখ্য ফোকাস বলে।
17. গৌণ ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর: আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের সাথে তির্যকভাবে লেন্সের উপর আপতিত হলে ফোকাস তলের উপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে মিলিত হয় অথবা ফোকাস তলের উপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। এই বিন্দুটিকে বলে গৌণ ফোকাস।
18. ফোকাস দূরত্ব ও ফোকাস তল কাকে বলে?
উত্তর: আলোক কেন্দ্র থেকে মুখ্য ফোকাস পর্যন্ত দূরত্ব কে ফোকাস দূরত্ব বলে।
ফোকাস বিন্দুর মধ্য দিয়ে প্রধান অক্ষের সাথে লম্বভাবে কল্পিত তলকে ফোকাস তল বলে। এই তল প্রধান অক্ষকে লম্বভাবে ছেদ করে।
19. রৈখিক বিবর্ধন কাকে বলে?
উত্তর: প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য ও বস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাত কে রৈখিক বিবর্ধন বলে।
20. বিবর্ধক কাজরূপে উত্তর লেন্সের ব্যবহার লেখ।
উত্তর: উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে বস্তু রাখলে বস্তুর দিকেই অসদ বিবর্ধিত ও সম শীর্ষ প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব যত কম হয়, প্রতিবিম্বের বিবর্ধনও তত বেশি হয়। অর্থাৎ বিবর্ধক কাজ হল কম ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি উত্তল লেন্স।
21. আলোর বিচ্ছুরণ কাকে বলে?
উত্তর: সাদা বা যৌগিক আলো প্রিজমের মত কোন স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় উপাদান বর্ণে বিশ্লিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে।
যেমন সূর্যের সাদা আলো প্রিজমের উপর পড়লে “বেনীআসহকলা” এই সাতটি রং এ ভেঙে যায়।
22. আলোর বিচ্ছুরণের কারণ কি?
উত্তর: শুন্য বা বায়ুর মাধ্যমে সব বর্ণের আলো সমান বেগে যায় কিন্তু একটি ঘন মাধ্যম যেমন জল বা কাঁচে বিভিন্ন বর্ণের আলোর বেগ বিভিন্ন হয়। বেগুনি বর্ণের ক্ষেত্রে আলোর বেগ সবচেয়ে কম এবং লাল বর্ণের ক্ষেত্রে আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি হয়।
স্নেল এর সূত্র থেকে আমরা জানি আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইন এর অনুপাত ধ্রুবক। তাই সব বর্ণের ক্ষেত্রে আপতন কোণের মান সমান কিন্তু বিভিন্ন বর্ণের জন্য গণমাধ্যমে প্রতিসরাঙ্কের মান আলাদা হওয়ায় প্রতিসরণ কোণের মান আলাদা হয়।
এই কারণে দুই মাধ্যমের বিভিন্ন দল থেকে উপাদান বর্ণগুলি পৃথক হয়ে যায়।
23. সূর্যের সাদা আলোর উপাদান বর্ণ গুলি কি কি?
উত্তর: বেগুনি, নীল, আকাশী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল
24. একটি লেন্স উত্তল না অবতল চিনবে কিভাবে?
উত্তর: যে লেন্সের খুব কাছে একটি বস্তু নিয়ে গেলে তার অসদ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব তৈরি হয় সেটি উত্তল লেন্স এবং যে লেন্সটির খুব কাছে একটি বস্তু নিয়ে গেলে আকারে ছোট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। সেটি অবতল লেন্স।
25. লাল ফুলকে লাল দেখি কেন?
উত্তর: লাল ফুল লাল রং ছাড়া অন্য সব রং কে শোষণ করে, শুধুমাত্র লাল রঙটিকে প্রতিফলিত করে দেয় তাই লাল ফুলকে লাল দেখি।
26. একটি সবুজ কাঁচের মধ্য দিয়ে লাল ফুলকে দেখলে কি দেখবে ও কেন?
উত্তর: কালো দেখাবে। কারণ লাল ফুল লাল ছাড়া সব রংকে শোষণ করে শুধুমাত্র লাল রঙটিকে প্রতিফলিত করে সবুজ কাজ সবুজ ছাড়া সব রং কে শোষণ করে, তাই লাল ফুল থেকে আগত লাল বর্ণ কে সবুজ কাঁচ শোষণ করে নেয়। তাই কালো লাগে।
27. বিপদ সংকেত রুপে লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর: আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বাড়লে বিক্ষেপণ কম হয়। বিক্ষেপণ কম হয় বলে অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায়। তাই বিপদ সংকেত রূপে লাল আলো ব্যবহার করা হয়
সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন: (মান – 3) আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন
1. গোলীয় দর্পণের ক্ষেত্রে বক্রতা কেন্দ্র, বক্রতা ব্যাসার্ধ, প্রধান অক্ষ এবং উন্মেষের সংজ্ঞা লেখো।
উত্তর:
বক্রতা কেন্দ্র: লেন্সের গোলীয় তল যে দুটি গোলকের অংশ তাদের কেন্দ্র দুটিকে বক্রতা কেন্দ্র বলে
বক্রতা ব্যাসার্ধ: লেন্সের গোলীয় তল যে গোলকের অংশ তার ব্যাসার্ধকে বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে।
প্রধান অক্ষ: লেন্সের বক্রতা কেন্দ্রদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা কে প্রধান অক্ষ বলে।
উন্মেষ: কোন দলীয় দর্পনের দুই প্রান্তবিন্দু সংযোগ কারী একাংশটিকে লেন্স টির উন্মেষ বলে।
2. সরল ক্যামেরার মূল অংশ গুলি কি কি?
উত্তর: আলোক নিরুদ্ধ প্রকোষ্ঠ
লেন্স, ডায়াফারম, শাটার, ফিল্ম বা পেলট, বস্তুকে f ও 2f এর মধ্যে রাখা হয়
3. দীর্ঘ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া কাকে বলে? দীর্ঘ দৃষ্টি কেন হয় এবং এর প্রতিকার কি?
উত্তর: চোখের যে প্রকার ত্রুটিতে দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা গেলেও কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না। তাকে দীর্ঘ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া বলে
দীর্ঘ দৃষ্টির কারণ: 1. অক্ষিগুলোকে রাখার ছোট হয়ে গেলে 2. চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেলে
প্রতিকার: উপযুক্ত ক্ষমতার উত্তল লেন্স ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর করা যায়
4. স্বল্পদৃষ্টি বা মায়োপিয়া কি? কেন হয়? এর প্রতিকার লেখ।
উত্তর: চোখের যে পোকা ত্রুটিতে কাছের জিনিসপত্র দেখা গেলেও দূরের জিনিস স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না তাকে স্বল্পদৃষ্টি বা মায়োপিয়া বলে।
মায়োপিয়ার কারণ: 1. অক্ষিগোলকের আকার বৃদ্ধি পেলে 2. চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কমে গেলে
প্রতিকার: উপযুক্ত ক্ষমতার অবতল লেন্স ব্যবহার করে এই ত্রুটির প্রতিকার করা যায়
5. আকাশ কি নীল দেখায় কেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী Rayleigh এর সূত্র অনুযায়ী বিক্ষিপ্ত আলোর তীব্রতা আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চতুর্থ খাতের সমানুপাতিক। সূর্যের আলোতে উপস্থিত সাতটি রং এর মধ্যে ধূলিকণা ও গ্যাসীয় অনুদারা নীল বেগুনি রংয়ের বিক্ষেপণ সব থেকে বেশি ঘটে।।
আমাদের চোখ বেগুনি অপেক্ষা নীল আলোর জন্য বেশি সংবেদনশীল বলে আমরা আকাশকে নীল দেখি।
6. কাঁচের স্ল্যাব এর মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কাছে স্লাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় না। ধরিয়ে একটি আয়তঘনাকৃতি কাঁচ ফলক হল দুটি সর্বসম প্রিজমের সমন্বয়। এই প্রিজম দুটির প্রতিসারক দলগুলি পরস্পরের সমান্তরাল এবং ভূমিগুলি পরস্পরের বিপরীত দিকে থাকে।
সাদা আলো প্রথমে প্রিজমের মধ্য দিয়ে গেলে বিচ্ছুরণের পর বর্ণালী সৃষ্টি হয় কিন্তু বর্ণালীর বিভিন্ন বর্ণের রশ্মি গুলি দ্বিতীয় প্রিজমের মধ্য দিয়ে গিয়ে পুনরায় সংযোজিত হয়ে আবার সাদা বর্ণ সৃষ্টি করে ফলে আয়তঘনাকৃতিক কাজ ব্যবহার করে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ করা যায় না।
7. শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না কেন?
উত্তর: স্নেলের সূত্র অনুযায়ী Sin i/Sin r = ধ্রুবক ( iআপতন কোণ, r প্রতিসরণ কোণ) এই ধ্রুবকটিকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে। প্রতিসরাঙ্কের মান আপতিত আলোর বর্ণ এবং মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ।
এখন শূন্য মাধ্যম বা বায়ুর মাধ্যমে প্রতিটি বর্ণের আলোর বেগ সমান হলেও কোন আলোকীয় মাধ্যমে ভিন্ন বর্ণের আলোর বেগ ভিন্ন হয়। দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে বেগুনি আলোর জন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সর্বোচ্চ এবং লাল বর্ণের জন্য সর্বনিম্ন হয়।
প্রতিসরাঙ্কের এই পরিবর্তনের জন্য প্রতিসরণের ফলে ভিন্ন বর্ণের আলো ভিন্ন কোণে বেঁকে যায়। একই আপতন কোণের জন্য তাই সাদা আলোর মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন বর্ণের আলোর প্রতিসরণ বিভিন্ন হয়। এই কারণে সাদা আলো বিচ্ছুরিত হয়
সবাই কে ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” Madhyamik Physical Science Suggestion – আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই BigyanShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান এর যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করতে পারেন