HS EVS Question Paper with Answer 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 2024

2024 সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের প্রশ্নপত্র ও সম্পূর্ণ উত্তর,উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 2024 pdf, এখানে আলোচনা করা হয়েছে। HS 2024 Environmental Studies Question Paper Solve here

HS EVS Question Paper with Answer 2024
HS EVS Question Paper with Answer 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 2024

Table of Contents

1. প্রতিটি প্রশ্নের বিকল্প উত্তর গুলির মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ: (1×24=24) HS EVS Question paper answer 2024

(i) ভারতবর্ষে আবৃতবিজি উদ্ভিদ (অ্যানজিওস্পার্ম) প্রজাতির মোট সংখ্যা বর্তমানে কত?

(a)18500

(b)12500

(c)15500 

(d)14500

(ii) মায়া সভ্যতা পৃথিবীর কোন গোলার্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল?

(a) দক্ষিণ

(b) পূর্ব

(c) পশ্চিম

(d) এদের কোনোটিই নয়

(iii) একটি শান্ত অঞ্চলের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় নির্ধারিত নিরাপদ শব্দ মাত্রা কত?

(a)50 ডেসিবেল

(b) 40 ডেসিবেল

(c) 55 ডেসিবেল

(d) 60 ডেসিবেল

(iv) আই এস 10500 অনুযায়ী পানীয় জলে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার সর্বাধিক অনুমোদিত সীমা কত?

(a)0.05 MPN/100ml

(b)10 MPN/100ml

(c) 0 MPN/100ml

(d) 100 MPN/100ml

(v) নিম্ন লিখিত সার গুলির মধ্যে কোনটি সায়নো ব্যাকটেরিয়া কে ধারণ করে?

(a) অ্যাজোলা জৈব সার

(b) গোবর সার

(c) ডি.এ.পি

(d) এন.পি.কে

(vi) সুস্থায়ী উন্নয়নের নিরিখে বাণিজ্যিক ঋণগ্রহী তাদের জন্য নিচের কোন শংসাপত্র টি বাধ্যতামূলক করতে হবে

(a) আই. এস. ও 14000

(b) আই. এস. ও 9001

(c) আই .এস. ও 18000

(d) আই. এস. ও 15001

(vii) নিম্নলিখিত কোনটি ওজোন স্তরের সাথে প্রধান সম্পর্কিত?

(a) কিয়োটো প্রটোকল

(b) প্যারিস অ্যাকর্ড

(c) মন্ট্রিল প্রটোকল

(d) কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড

(viii) ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক অবস্থিত?

(a) মহারাষ্ট্র

(b) মধ্য প্রদেশ

(c) উড়িষ্যা

(d) বিহার

(ix) প্রবাল প্রাচীরের ধ্বংসের প্রধান কারণ হলো

(a) সামুদ্রিক দূষণ

(b) অধিক বৃষ্টিপাত

(c ) শব্দ দূষণ

(d) খাদ্য বর্জ্য

(x) পানীয় জলের বিশুদ্ধতা মাপবার সূচক হল

(a) বর্ণ

(b) গন্ধ

(c) অস্বচ্ছতা

(d) এদের সবকটি সঠিক

(xi) যে প্রক্রিয়ায় কেঁচো কঠিন পদার্থের পচন ঘটায় কাকে বলে

(a) ক্ষরন (লিচিং)

(b) ছিন্ন করন

(c) ল্যান্ডফিলিং

(d) ভার্মিকম্পোস্টিং

(xii) আফ্রিকার প্রধান সিম গাই মটরের আনুমানিক কত শতাংশ অন্য শস্যের সাথে সেখানে চাষ করা হয়।?

(a)98%

(b) 80%

(c) 40%

(d) 50%

(xiii) কিছু ধরনের ছাড় আছে যা

(a) মাটির অম্লত্ব বাড়িয়ে দেয়

(b) বাস্তুতন্ত্রকে বিনষ্ট করে

(c) মাটির প্রাকৃতিক চক্র কে ব্যাহত করে

(d) এদের সবকটি সঠিক

(xiv) ভারতবর্ষের উপজাতি জনগোষ্ঠীর নিজেদের চাহিদা পূরণে আনুমানিক কত প্রজাতির বন্য উদ্ভিদ ব্যবহার করে?

(a) 6000

(b) 5000

(c) 1000

(d) 4000

(xv) উত্তরবঙ্গে হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থলের কত শতাংশ সংকুচিত হয়ে চা বাগানে রূপান্তরিত হয়েছে?

(a)20%

(b)10%

(c)30%

(d) এদের কোনোটিই নয়

(xvi) ভারতবর্ষে রিভার বোর্ডস আইন কোন সালে প্রণয়ন হয়েছিল?

(a)1956

(b)1966

(c)1988

(d)1986

(xvii) নিম্নলিখিত কোনটি জৈব সঞ্চয় এবং জৈব বিবর্ধনের জন্য দায়ী?

(a) লেগ হিমোগ্লোবিন

(b) আলফালফা

(c) আই. আর. 36

(d) ডি.ডি.টি

(xviii) শস্য প্রকার নিয়ন্ত্রণ এর ক্ষেত্রে আগাছা নির্মূল করা হলো এক প্রকার

(a) ভৌত পদ্ধতি

(b) রাসায়নিক পদ্ধতি

(c) জৈব পদ্ধতি

(d) এদের কোনোটিই নয়

(xix) সজিব সার প্রয়োগের উপকারিতা হলো

(a) এটি মৃত্তিকার পুষ্টি বাড়ায়

(b) এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনে সাহায্য করে

(c) এটি পরিবেশবান্ধব

(d) এদের সবকটি সঠিক

(xx) সজীব আগাচ্ছো নাশক এর একটি উদাহরণ হল

(a) মিলেট

(b) সয়াবিন

(c) সূর্যমুখী

(d) এদের সবকটি সঠিক

(xxi) আবাসস্থল বৈচিত্রের অপর নাম হল

(a) জিনগত বৈচিত্র্য

(b) বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র

(c) প্রজাতিগত বৈচিত্র

(d) এদের কোনোটিই নয়

(xxii) যে প্রজাতিকে বিগত ৫০ বছর ধরে নির্দিষ্টভাবে দেখা যায়নি তাকে বলে

(a) লুপ্ত

(b) বিপদসংকুল

(c) বিরল

(d) অনির্দিষ্ট

(xxiii) ভারতবর্ষে বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর মোট সংখ্যা বর্তমানে কত?

(a) 81

(b) 372

(c) 39

(d)101

(xxiv) নিম্নলিখিত কোন সংস্থাটি লাল পুস্তিকা (রেড ডাটা বুক) প্রকাশিত করেছে?

(a) W.W.F

(b) C.B.D

(c) C.I.T.E.S

(d) I.U.C.N

2. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও 1×10=10 | উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 2024 pdf download Class|12 Environmental Studies question 2024

 (i) অন্তমাইকোরাইজা কাকে বলে?

উত্তর: কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া কিছু ছত্রাকের সঙ্গে শস্য উদ্ভিদের মূলে একত্রে বসবাস করে। এদের মধ্যে আবার কোন কোন ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের মূলের ভেতরে অবস্থান করে। এদেরকেই বলা হয় অন্তমাইকোরাইজা। 

                           অথবা,

শস্য পোকার রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার রাসায়নিক আগাছা নাশক ব্যবহার করে জমিতে শস্য পোকার উৎপাত বন্ধ করাকেই শস্য পোকার নিয়ন্ত্রণ বলা হয়। 

(ii) হেটারো সিস্ট কাকে বলে?

উত্তর: সায়ানো ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেন উৎসেচক উৎপন্ন করতে পারে এবং নাইট্রোজেনের সংযুক্তি ঘটে এক ধরনের বিশেষ অনুর মাধ্যমে যেখানে নাইট্রোজেন সংযুক্তিকরণ জিন থাকে সেই বিশেষ ধরনের অণুকে হেটারো সিস্ট বলে। এছাড়াও হেটারসিস্ট অঙ্গানু অক্সিজেনের সংস্পর্শ থেকে নাইট্রোজেনের উৎসেচককে বাঁচিয়ে রাখে এবং তার সক্রিয়তা বজায় রাখে। 

                             অথবা,

মৃত্তিকার পরিপোষক বলতে কী বোঝো?

উত্তর: মৃত্তিকার পরিপোষক বলতে বোঝায় মাটিতে উপস্থিত নানা রকম জৈব পদার্থ মৃত এবং গঠিত উদ্ভিদ দেহ অনুজীব এবং হিউমাস যা মাটির উর্বরতা, গুনমান এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং মাটির জীবদের বেঁচে থাকার রসদ যোগায়।

এছাড়াও মাটিতে উপস্থিত খনিজ কণিকা, জল এবং অন্যান্য অজৈব পদার্থ মাটির পরিপোষক হিসেবে কাজ করে।

(iii) চিংড়ির চাষের ফলে কি ধরনের দূষণ সৃষ্টি হয়?

উত্তর: চিংড়ির চাষের ফলে জল দূষণ হয়। 

                             অথবা,

ডি এন এ নির্দেশিত উৎসেচক বলতে কী বোঝো?

উত্তর: ডি এন এ নির্দেশিত উৎসেচক হল শেষ হোক উৎসেচক যেগুলি ছাড়া একটি জটিল জীবের ক্রিয়াকলাপ ঠিক মতো সম্পন্ন হবে না। 

(iv) জীব বৈচিত্রের হটস্পট বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পৃথিবীর যে সকল স্থানে অধিক সংখ্যায় বিভিন্ন প্রজাতির জীব পাওয়া যায় এবং এমন সব প্রজাতির জীব পাওয়া যায়, যার অন্য কোন স্থানে পাওয়া যায় না ,অঞ্চলগুলি নানা কারণে বিপদগ্রস্ত ,তাদের জীব বৈচিত্রের হটস্পট বলে।

যেমন-পূর্ব হিমালয় হটস্পট , ইন্দো বর্মা হটস্পট। 

                                অথবা,

বোটানিক্যাল গার্ডেন ও সংরক্ষিত বনের মধ্যে মূল পার্থক্য উল্লেখ কর। 

উত্তর: বোটানিক্যাল গার্ডেন হল একসিটু সংরক্ষণ, কিন্তু সংরক্ষিত বন ইন সিটু সংরক্ষণের মধ্যে পড়ে।

(v) চম্পা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?

উত্তর: Michelia champaka 

                           অথবা,

ভারতবর্ষের কোন প্রদেশে ডিব্রু সাইখোয়া জৈব মন্ডল সংরক্ষিত এলাকাটি অবস্থিত?

উত্তর: আসামে অবস্থিত

(vi) কাঁঠাল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?

উত্তর: Artocarpus integrifolia 

                           অথবা,

ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে মান্নার উপসাগর জৈব মন্ডল সংরক্ষিত এলাকাটি অবস্থিত?

উত্তর: তামিলনাড়ুতে

(vii) ‘মানুষ হস্তি সংঘর্ষ’ প্রতিরোধের একটি উপায় লেখ।

উত্তর: মানুষ সত্যি সংঘর্ষ প্রতিরোধের জন্য গ্রামবাসীদের বিপদ মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বন বিভাগের তরফ থেকে বন্যপ্রাণী চলাচলের রাস্তা গুলিকে চিহ্নিত করে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলতে হবে। মানুষ যাতে বনে আগুন না লাগায় সেদিকে লক্ষ্য দিতে হবে।

(viii) অস্থানিক সংরক্ষণ (এক্স সিটু সংরক্ষণ) কাকে বলে?

উত্তর: স্বাভাবিক বাসস্থান বা পরিবেশের বাইরে কিছু জৈব প্রজাতির সংরক্ষণ করার পদ্ধতিকে এক্স সিটু সংরক্ষণ বা অস্থানিক সংরক্ষণ বলে।

যেমন, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন ইত্যাদি

(ix) গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: রাইজোবিয়াম ফ্যাসিওলি

অথবা,

প্রতিবছর আনুমানিক কত পরিমান নাইট্রোজেন আজেটোব্যাক্টর দ্বারা প্রতি এক হেক্টর জমিতে সংযুক্ত হতে পারে?

উত্তর: Azotobactor প্রতিবছর প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম নাইট্রোজেন মাটিতে সংযুক্ত করে

(x) কৃষি বাস্তুতন্ত্র বলতে কী বোঝো?

উত্তর: কৃষি বাস্তুতন্ত্র মূলত পরিবেশের শক্তি এবং বস্তুর যোগানের সম্মুখ উপলব্ধির সাহায্যে সুস্থায়ী কৃষি ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের সুযোগ এনে দেয়।

অথবা,

শস্যক্ষেত্রে ‘সজীব বেড়া’ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: যখন সারি সারি গাছ বেড়া হিসেবে লাগিয়ে তৃণভোজী প্রাণীদের শস্যক্ষেত্রে প্রবেশ আটকানো হয় তাকে সজীব বেড়া বলে।

(xi) বায়ু দূষণ ঘটায় এমন একটি বিষাক্ত গ্যাসের নাম কর।

উত্তর: সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড

(xii) ভারতবর্ষে ‘পরিবেশ হিসাব পরীক্ষা আদেশনামা’ কোন সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল?

উত্তর: ভারতে পরিবেশ হিসাব পরীক্ষা আদেশনামা ১৯৯৭ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল

(xiii) কিভাবে শব্দের মানের ভিত্তিতে ‘শিল্পাঞ্চল’ এবং ‘বাণিজ্যিক অঞ্চলের’ মধ্যে পার্থক্য করবে?

উত্তর: শিল্পাঞ্চল এলাকায় দিনের বেলায় শব্দের মান ৭৫ ডেসিবেল এবং রাতে ৭০ ডেসিবেলের মধ্যে হতে হবে। বাণিজ্যিক অঞ্চলে দিনের বেলা ৬৫ ডেসিবেল এবং রাতে 55 ডেসিবেলের মধ্যে হতে হবে।

(xiv) ভারতবর্ষে ‘ম্যানগ্রোভ কনজারভেশন প্রোগ্রাম’ কোন সালে গৃহীত হয়েছিল?

উত্তর: ভারতে ম্যানগ্রোভ কনজারভেশন প্রোগ্রাম ১৯৮৭ সালে গৃহীত হয়েছিল

(xv) ‘জীবাশ্ম জ্বালানি যুগকে’ সুস্থায়ীভাবে গণ্য করা হয় না কেন?

উত্তর: কয়লা, খনিজ তেল প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি জ্বালানির পুনর্নবীকরণ সম্ভব নয়। একবার ব্যবহার করলে তা শেষ হয়ে যায়। একজন মানুষের জীবনকালে তা পুনরায় সঞ্চিত হয় না। তাই আমাদের স্বল্পস্থায়ী জীবনকালের হিসাবে জীবাশ্ম জ্বালানি যুগ সুস্থায়ী নয়।

(xvi) ‘সুস্থায়ী জীবনযাত্রা’ অর্জনের জন্য একটি পদক্ষেপ উল্লেখ কর।

উত্তর: সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য একটি পদক্ষেপ:

1 জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা

2 সমন্বিত ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা

3 সমৃদ্ধ শস্যক্ষেত্র, তৃণভূমি

4 বনভূমি ও প্রান্তিক ভূমির সবুজায়ন

5 জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ

6 জল ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ

বিষয় ভিত্তিক/ বর্ণনামূলক প্রশ্নাবলী | উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা সাজেশন 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 2024

3. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়)

(i ) সুস্থায়ী সমাজের মাধ্যমে সুস্থায়ী অর্থনীতি কিভাবে অর্জন করা যায়? ‘সুস্থায়ী উন্নয়ন’ এবং ‘সহনযোগ্য ভোগ’(টেকসই ভোগ) এর মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। 4+4

উত্তর: 

সুস্থায়ী অর্থনীতি:

সুস্থায়ী উন্নয়নের সুফল সুস্থায়ী অর্থনীতিতে এমনভাবে রূপান্তরিত হয় যাতে প্রাকৃতিক সম্পদের ভিত্তি বজায় থাকে

সুস্থায়ী সমাজ:

সুস্থায়ী উন্নয়ন একটি সুস্থায়ী সমাজ গঠন করে যা প্রকৃতির স্বার্থে কাজ করে দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে সেই সমাজের অস্তিত্ব সুনির্দিষ্ট করে।

সুস্থায়ী স্বার্থে কাজ করে দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে সেই সমাজের অস্তিত্ব সুনির্দিষ্ট করে।

সুস্থায়ী উন্নয়নের সঙ্গে সহনযোগ্য ভোগের সম্পর্ক:

আমাদের অস্তিত্ব জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে সূর্য এবং পৃথিবীর উপর নির্ভরশীল। আমরা সূর্যকে বলি সকল শক্তির উৎস এবং সৌরশক্তিকে বলি সৌর মূলধন।পৃথিবীর বায়ু জল উর্বর মাটি বনাঞ্চল তৃণভূমি জলভূমি সমুদ্র নদী জলাশয় বন্যপ্রাণী খনিজ পদার্থ এবং প্রাকৃতিক শোধন ক্রিয়া এবং পুনর্ব্যবহার প্রক্রিয়াকে বলা যেতে পারে পার্থিব মূলধন।

একটি সুস্থায়ী সমাজ সমগ্র পৃথিবী বা এর কোন অংশের পরিবেশ লাঞ্ছনা সহ্য করবার ক্ষমতা অতিক্রম না করে তার অর্থনীতি এবং জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা বজায় রাখে যাতে সুদীর্ঘ সময় ধরে মানুষ ও অন্যান্য জীবের ধারাবাহিক জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকে এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি সাধন না হয়।

ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা অনবীকরণযোগ্য তেল এবং নানা খনিজ সঞ্চয়ের অতি ব্যবহার করে তুলেছি। কয়লা তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের নির্দিষ্ট সঞ্জয় তৈরি হয়েছে বহু বছর ধরে যা খরচ হয়ে যাচ্ছে একটি শতাব্দীতেই।

শক্তি অপচয় না করে অফুরন্ত সৌরশক্তি বায়ু শক্তি জল শক্তি নবীকরণযোগ্য বন সম্পদ,সূর্যালোক, সংশ্লেষিত জল থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপ ব্যবহার করে সুস্থায়ী জীবনযাত্রা সম্ভব।

আমাদের স্বল্প স্থায়ী মানব জীবনের সাপেক্ষে সংক্ষিপ্ত জীবাশ্ম জ্বালানি যুগ বস্তু তো স্থায়ী নয়। কয়লা তেল প্রাকৃতিক গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানি পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়। একবার ব্যবহার করলেই তা শেষ হয়ে যায় শক্তির ব্যবহার কমিয়ে আমরা এইসব জ্বালানির সঞ্চয় দীর্ঘস্থায়ী করতে পারি। পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাব এড়াতে পারি এবং পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির যুগে প্রবেশের পথ সহজ করতে পারি।

অথবা,

‘পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদের’ সুস্থায়ী ব্যবহার বলতে কী বোঝো? সুস্থায়ী উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জৈব অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পদ্ধতির ভূমিকা সঠিক উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।  3+5

উত্তর: 

পুনর্নবীকরণ যোগ্য সম্পদের সুস্থায়ী ব্যবহার সুনিশ্চিত করে যাতে সম্পদের স্বাভাবিক নবীকরণের হার অতিক্রান্ত না হয়। এই প্রসঙ্গে কে বলা দরকার যে সংজ্ঞা অনুযায়ী সুস্থায়ী ব্যবহারের ধারণাটি পুনর্নবীকরণযোগ্য নয় এমন সম্পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

কারণ এই ধরনের সম্পদের যোগান সীমাবদ্ধ এবং সুস্থায়ীভাবে এর ব্যবহার সম্ভব নয়। সুস্থায়ী উন্নয়নের ধারণা ও সংজ্ঞা প্রচলিত বাস্তুতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করে এর মাধ্যমে

  1. সুস্থায়ী উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জৈব পদ্ধতির লক্ষ্য গুলি (বংশগতির বৈচিত্র্য, স্থিতিস্থাপকতা, জৈব উৎপাদন) অর্থনৈতিক পদ্ধতির লক্ষ্য গুলি ( প্রাথমিক ন্যূনতম প্রয়োজন, সমতা ইত্যাদি) এবং সামাজিক পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি (সামাজিক ন্যায় জনগণের অংশগ্রহণ ইত্যাদি) সম্মিলিত সর্বোচ্চ পরিমাণ অগ্রগতি সুনিশ্চিত হয় এবং
  2. সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রাকৃতিক সহায়ক শক্তিগুলির ধারণযোগ্যতার মধ্যে মানব জীবনের মান উন্নয়ন এবং পরিবেশগত অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুস্থিতিসমন্বয় থাকে।

সুস্থায়ী উন্নয়নকে পরিবেশগত অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সুস্থায়ী ধারণা গুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনকারী একটি মতবাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

(ii) সুস্থায়ী উন্নয়নের ভিত্তিভূমি বলতে কী বোঝো? ‘সমাজ-রাজনীতি মাপকাঠি’ নিরিখে সুস্থায়িত্বের নীতি সমূহ সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর: সুস্থায়ী উন্নয়নের ভিত্তিভূমি:

ঐতিহাসিক বিবেচনায় আবহাওয়া পরিবর্তনের বিপর্যয় ও প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যায়সম্মত ব্যবহারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত সভ্যতার উত্থানপতন। এই সমস্ত বিপর্যয় জনবসতির উচ্ছেদ ঘটিয়েছে। ভয়ংকর ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত হয়েছে মানুষ। পৃথিবীর রাজনৈতিক পরিস্থিতিও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। শুরু থেকেই জনবসতি প্রাকৃতিক জলসম্পদ এর দ্বারা স্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত হয়েছে ।

সেই সঙ্গে দেখা গেছে নদীর ধারেই ব্যাপক জনপদ গড়ে উঠেছে। এবং অধিকাংশ সভ্যতায় জলসভ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জলসভ্যতার সমাজগুলির অস্থায়ী তে সমস্যার কারণ হলো জল এবং মাটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব। ভূগর্ভস্থ ও ভূপৃষ্ঠের জলের অসম বন্টনের অভাবে জল লবণাক্ত ও ভূমি শুষ্ক হয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

অর্থনীতির ইতিহাস থেকে এই শিক্ষা লাভ করা যায় যে উপরিক্ত বিপর্যয়গুলির জন্য দায়ী প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের অপব্যবহার। বিংশ শতাব্দীতে মনুষ্য কর্তৃক পৃথিবীর সম্পদ আহরণের ব্যাপকতা ও প্রাবল্য জীব মন্ডলের প্রধান উপাদান যথা বায়ুমণ্ডল স্থলভাগ ও জৈব বৈচিত্রের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে।

দ্রুত শিল্পায়ন বননিধন নগরায়ন মূলত এই অবস্থার জন্য দায়ী। বিংশ শতাব্দীর সূচনাতেই মানুষের অবস্থার উন্নতির জন্য উদ্বিগ্ন সবারই সুস্থায়ী উন্নয়নের ভাবনা প্রধান হয়ে উঠেছিল এই ভাবনার সর্বজন গ্রহিতা প্রমাণ করে যে এটি মানব ভাবনার নির্যাসটিকেই ধনীত করে এবং ভাবনাটি অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য।

সমাজ রাজনীতির মাপকাঠি:

1. ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মুক্ত অবাধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দ্বারা সমর্থিত সিদ্ধান্তকারি শক্তির প্রতিষ্ঠা

2. জনগণকে চূড়ান্ত অভাব এবং অর্থনৈতিক আগ্রাসনের কাছে নতিশ্বীকার থেকে মুক্ত করা

3. অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় সৃজনশীল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা

4. সাম্য সামাজিক ন্যায় নিজের পূর্ণ সম্ভাবনার উপলব্ধি সঠিক আইনি ব্যবস্থা উচ্চমানের শিক্ষা সুযোগ ধর্মাচরণ বাক স্বাধীনতা এবং সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা ইত্যাদি।

অথবা

‘একটি সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব নির্ভর করে তার পরিবেশের সুস্থিতির উপর’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। পরিবেশের ‘বহন ক্ষমতা’ বলতে কি বোঝো?

উত্তর: একটি সমাজের স্থায়িত্ব নির্ভর করে এর পরিবেশের সুস্থিতির উপর। পরিবেশ ও অর্থ সামাজিক দূষণের যোগ উপেক্ষনীয় নয়। বিশেষত অতীতে যা ঘটতে শত শত বছর লাগতো এখন তা কয়েক দশকেই ঘটছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আমাদের নিজের দেশে উন্নয়নমূলক বৃদ্ধি আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল।

নিম্নলিখিত পরিবেশ সমস্যা গুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করলে দেশের সুস্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব হতে পারে।

 সুস্থায়ী উন্নয়নের উপায় গুলি হলো….

  1. জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা
  2. সমন্বিত ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা
  3. সমৃদ্ধ শস্য ক্ষেত ও তৃণভূমি
  4. বনভূমি ও প্রান্তিক ভূমির সবুজায়ন
  5. জৈব বৈচিত্র সংরক্ষণ
  6. জল ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ
  7. দূষণহীন পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির উন্নয়ন ও প্রচলন
  8. বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহার ব্যবস্থা গ্রহণ
  9. পরিবেশ অনুকূল জনবসতি ও বস্তির উন্নয়ন
  10. সকলের জন্য পরিবেশ শিক্ষা ও সচেতনতা
  11. পরিবেশ আইন সমূহের সংশোধন ও নবীকরণ
  12. জাতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার নতুন মাত্রা

পরিবেশের বহন ক্ষমতা:

পরিবেশ তার সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে সর্বোচ্চ যত জীবকে সব দিক দিয়ে সুরক্ষা দিতে পারে তাকে সেই পরিবেশের সর্বাধিক বহন ক্ষমতা বলা যেতে পারে।

(iii) ‘পরিবেশ দূষণ’ কিভাবে ‘জীববৈচিত্র্যে’র ক্ষতিসাধন করে ‘লোকায়ত জ্ঞান’ কিভাবে বাস্তুতন্ত্রকে সুরক্ষা প্রদান করে?

উত্তর:

বায়ু দূষণ:

দূষণ বাস্তুতন্ত্রের একটি অন্যতম বড় সমস্যা যা সংবেদনশীল প্রজাতিগুলিকে বিলুপ্ত করে দেয়। বায়ু দূষণের কারণে ব্যাপকভাবে প্রজাতিহাঁসের প্রমাণ বা পরিসংখ্যান ভারতে খুব সীমিত প্রচন্ড বায়ু দূষণের ফলে পোল্যান্ডের একটি জাতীয় উদ্যানের ৪৩ টি প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

জৈব প্রজাতির উপর কীটনাশকের প্রভাবের গবেষণা হয়েছে ভারতে, দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে রাজস্থানের কেওলাদেও জাতীয় উদ্যানের সারস পাখির দেহে অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বিষাক্ত কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় সারস পাখির সংখ্যা হ্রাস ও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে প্রাণীদেহে কীটনাশক থেকে যায় এবং খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে জৈব বিবর্তনের মাধ্যমে পরবর্তী স্তরের খাদকের শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতি সাধন করে।

জল দূষণ:

জলদূষণও জীববৈচিত্র নষ্ট করে। ভারতের শিল্পজাত দূষণের কারণে প্রবাল প্রাচীর ও সামুদ্রিক জীবকুল বিপর্যয়ের সম্মুখীন। সমুদ্রপৃষ্ঠে অভেদ্য তেলের আস্তরণ গ্যাসীয় আদান-প্রদানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ,ফলে জলজ প্রাণীদের মৃত্যু ঘটে।

কোন স্থানের উন্নয়নের সময় সেই এলাকার বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধে অবহিত না থাকার দরুন কোন কোন প্রজাতির বিলোপ সম্ভব। অনেক সময় এমনও হয় যে স্থানীয়ভাবে কোন প্রজাতি পরিচিত থাকলেও লোকায়ত অভিজ্ঞান হারিয়ে যায় জীবন যাত্রার পরিবর্তনের সাথে।

উপজাতি জনগোষ্ঠী সময়ের সংস্কার, বিশ্বাস, চাহিদা, সংস্কৃতি এবং কৃষি তাদের চারপাশে জৈববৈচিত্র সম্ভারের সাথে গভীরভাবে জড়িত। এইসব জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় দ্রুত পরিবর্তন আসছে। এদের লোকায়ত জ্ঞান লিপিবদ্ধ করে পরম্পরায় বাহিত না হলে একদিন তা একেবারেই হারিয়ে যাবে।

অথবা,

‘বন্যপ্রাণী ব্যবসা’ কিভাবে ‘জীববৈচিত্র্যে’র সাথে সংযুক্ত? ‘ভারতবর্ষ এক মহা জীববৈচিত্র্যময় দেশ’ উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।উচ্চমাধ্যমিক 2024 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নপত্রের উত্তর

উত্তর:

ভারতের ইতিহাসে দেখা যায় প্রায় দুই হাজার বছর আগেও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থা ছিল কিন্তু বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ নিয়ে বিশাল ব্যবসা এমনকি 10 বছর আগেও তেমন জানা ছিল না ভারত আজ বন্যপ্রাণী আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ব্যবসার মাধ্যমে বিশ্বের বাৎসরিক আনুমানিক 25 কোটি ডলার বাজারে ঢুকে পড়েছে।

এ ব্যাপারে ভারত সরকার বিশেষ নীতি প্রণয়ন করে দৃঢ়তার সাথে এর মোকাবিলা করার ব্যবস্থা নিয়েছে। অধিকাংশ বন্যপ্রাণী ভারতের সুরক্ষিত তাই ভারতে কোন বন্যপ্রাণী হত্যা একটি অপরাধ। অনেক বর্ণ উদ্ভিদ আইন দ্বারা সুরক্ষিত ।

এই সমস্ত নীতি ও আইন থাকা সত্ত্বেও বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের বেআইনি ব্যবসা চলছে রমরমে, শুধুমাত্র আইন করে সমাজের এই জঘন্যতম অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব নয়, তাই বন্যপ্রাণীর চোরাগোপ্তা শিকার,বিশেষ গাছ উপড়ে ফেলার বিরুদ্ধে আইন ছাড়াও জনসচেতনতা দরকার।

ভারতবর্ষে একটি মহা জৈব বৈচিত্র্যময় দেশ

ভারতে অপূর্ব জৈব বৈচিত্র্য, অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি ও অভিব্যক্তিময় বাস্তু তন্ত্রের সমৃদ্ধ। ভূপৃষ্ঠের শতকরা দুভাগ এলাকায় এবং পৃথিবীর শতকরা পাঁচ ভাগ জৈব বৈচিত্র ভারতে দেখা যায়। ভারতে পাওয়া যায় 45 হাজার এর বেশি উদ্ভিদ প্রজাতি, এদের মধ্যে ১৫ হাজার সপুষ্পক উদ্ভিদের ৪৯০০ বিভিন্ন ফুলের গাছ ভারতের নিজস্ব প্রজাতির। এক সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে যে ভারতের শতকরা ১৮ ভাগ উদ্ভিদ কেবলমাত্র ভারতেই জন্মায় পৃথিবীর অন্য কোথাও তা পাওয়া যায় না।

ভারতের ব্যাঙ জাতীয় উভচরের শতকরা ১৮ ভাগই এ দেশের নিজস্ব নথিভুক্ত। ১৫৩ প্রজাতির সরীসৃপের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই ভারতেই কেবলমাত্র দেখা যায়।

বিশ্বে কর্ষিত উদ্ভিদের আটটি উৎস কেন্দ্রের মধ্যে ভারত একটি ভারতবর্ষে খাদ্যশস্যের ৫১ টি প্রজাতি, ১০৪ টি ফলের প্রজাতি, ২৭ টি মসলার প্রজাতি, ৫৫টি সবজি ও ডাল শস্যের প্রজাতি, ২৪টি তন্ত্রময় শস্য প্রজাতি, 12 টি তৈলবীজ প্রজাতি এবং চা কফি তামাক ও আখের বহু বন্যপ্রজাতি আছে।

ভারতে মোট প্রাণীর সংখ্যা ৮১ হাজার। ৫৭ হাজার কীটপতঙ্গ, ২৫৬৪ টি মাছ, ২০৪ প্রকারের উভচর, ৪২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২২৮ প্রজাতির পাখি এবং ৩৭২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, কুড়ি হাজার প্রজাতির অমেরুদন্ডী প্রাণী ভারতে পাওয়া যায়।

ভারতের ২৬ জাতের গবাদি প্রাণী, ৪০ জাতের মেষ, কুড়ি জাতের ছাগল, চার জাতের উট, তিন জাতের ঘোড়া, দুই জাতের গর্ধব, ১৮ জাতের মুরগি পাওয়া যায়, ভারতে মোটামুটি ৮৫০ জাতের ব্যাকটেরিয়া এবং ১২ হাজার ৫০০ প্রজাতির ছত্রাক পাওয়া যায়।

(iv) পরিবেশবান্ধব প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি গুলি সংক্ষেপে আলোচনা কর। অনুজীব কিভাবে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারে? Higher Secondary 2024 Environmental Studies Question Paper and answer key

উত্তর: পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতিগুলি হল:

(ক) মিশ্র চাষ: একই জমিতে একই রকম ফসলের চাষ থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলিকে নিবারনের জন্য মিশ্র চাষের প্রচলন করা হয়। এক্ষেত্রে একই জমিতে একই ফসল বার বার চাষ না করে একাধিক শস্যের চাষ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা হয়। উদাহরণস্বরূপ লাটিন আমেরিকায় ভোটটা আলু অন্যান্য শস্যের সাথে বিনের চাষ করা হয় ।

(খ) মিশ্র শস্য চাষ: এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন শস্যের চাষ করা হয় উদাহরণস্বরূপ নাইজেরিয়ার একটি বড় খামারে কলা, বিন, কাসাবা ,তরমুজ, ইয়াম প্রভৃতি ৮ রকমের বেশি ধরনের সরষের চাষ করা হয়।

(গ) শস্য আবর্তন: সারা বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক বিভিন্ন শষ্যের চাষকে শস্যের আবর্তন চাষ বলে এই চাষে শস্যের বেশি পরিমাণে উৎপাদন হয় এবং জমির উর্বরতা বজায় থাকে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বার্লি চাষের পরে গমের চাষ করা

(ঘ) কৃষি বন: ঝুম চাষ সবচেয়ে পুরনো লোকায়ত কৃষি বন পদ্ধতি ঝুম চাষে কোন একটি জমিতে কয়েক বছর চাষ করার পর সেখানে বনভূমি গজিয়ে ওঠা সুযোগ দিয়ে চাষ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য জমিতে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষে ইংরেজরা এক বন সৃজন পদ্ধতির প্রবর্তন করে যাকে বলা হয় টাংগিয়া। এই পদ্ধতিতে নতুন বৃক্ষরাজীর বনে খাদ্যশস্যের চাষ করা হয় যখন বনের বৃক্ষরাজি বৃদ্ধি পেয়ে খুব গভীর পাতার ছাউনি তৈরি করে এবং যার ফলে শস্যের চাষ করায় অসুবিধা হয় তখন শস্য চাষ বন্ধ করা হয়।

অনুজীবের দ্বারা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি: জৈব সার হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন অণুজীব হল রাইজোবিয়াম ,অ্যাজোটোব্যাক্টর, অ্যাজোসপাইরিলাম ইত্যাদি। রাইজবিআম একটি গ্রাম নেগেটিভ রঞ্জনধর্মী মাটিতে থাকা অনুজীব যারা বেশিরভাগ সিম জাতীয় গাছের এবং কিছু অন্যান্য গাছের মূলে ওরবুদ বা গুটি তৈরি করে নাইট্রোজেন সংযুক্তিকরণে সাহায্য করে এছাড়া বিভিন্ন অনুজীব মাটিতে থাকা অজৈব ফসফরাসকে শস্য গাছের পক্ষে শোষণের উপযুক্ত করে দেয়।

(v) বসুন্ধরা সম্মেলন (1992) তে গৃহীত নীতি গুলির উপর সংক্ষেপে লেখ ।ভারতবর্ষের সঠিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তিনটি পদক্ষেপ উল্লেখ কর।  5+3 HS Environmental Study Suggestion

 উত্তর: বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত নীতি:

  1. সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবং পৃথিবীর অধিকতর মানুষের প্রয়োজন পূরণের জন্য দারিদ্র দূরীকরণ ও পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণ আবশ্যিক
  2. বিশ্বের বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য বাতাস জল স্থলভাগ উদ্ভিদ ও প্রাণিসহ সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশকে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে রক্ষা করতে হবে
  3. পুনর্নবীকরণ যোগ্য সম্পদের অতি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে এদের নিঃশেষিত হওয়া থেকে বাঁচাতে হবে
  4. বন্যপ্রাণী ও তাদের বাসস্থান রক্ষা করার দায়িত্ব মানুষের
  5. অফ পুনর্নবীকরণযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ যাতে সম্পূর্ণ নিঃশেষ না হয় সে চেষ্টা করতে হবে এই সম্পদ সমগ্র মানবজাতি যাতে যথাযথ ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।

ভারতের পরিবেশ ব্যবস্থাপনার তিনটি প্রধান পদক্ষেপ

  1. দূষণ পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ
  2. পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব
  3. বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি ও সম্পদ সংরক্ষণ
  4. পরিবেশের উন্নয়ন
  5. পরিবেশ সম্পর্কিত গবেষণা প্রসারণ ইত্যাদি

যে সব ছাত্র ছাত্রী 2024 সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর খুজছ তার এখানেই উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 2024 pdf, দ্বাদশ শ্রেণীর পরিবেশ বিদ্যা প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন উত্তর 2024,উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা সাজেশন 2024,Environmental Science Question Answer – 2025পেয়ে যাবে । ধারাবাহিক ভাবে অন্যন্য বছরের প্রশ্ন উত্তর উচ্চ মাধ্যমিক পরিবেশ বিদ্যা সাজেশন 2024 pdf download আপলোড করা হবে । চ্যাপ্টার অনুযায়ী পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্ন ও উত্তর pdf class 12 আলোচনা করা হবে। তাই আমাদের সাথে থেকো। অনেক গুরুত্ত পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর পরিবেশ বিদ্যা mcq pdf দেওয়া হবে। পরিবেশ বিদ্যা বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf class 12 এর জন্য তোমরা Bigyansiksha.com ওয়েবসাইট টি ফলো করতে পারো

Leave a Comment