Madhyamik Physical Science Suggestion- পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্ন-উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

Madhyamik Physical Science Suggestion (মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন – পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই Madhyamik Physical Science Suggestion (মাধ্যমিক  ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ) – পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর  গুলি আগামী West Bengal Madhyamik Physical Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছ , তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারো । মাধ্যমিক পরীক্ষা তে প্রশ্ন গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

madhyamik-physical-science-chap-1
পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর Madhyamik Physical Science Suggestion

Table of Contents

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ Question) : (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

1. ওজন হিসাবে বায়ুমন্ডলে ট্রপোস্ফিয়ার

(a) 25

(b) 50

(c ) 75

(d) 40

2. বায়ুমন্ডলের ঊর্ধ্বতম স্তরটি হল

(a) থার্মোস্ফিয়ার

(b) এক্সোস্ফিয়ার

(c ) মেসোস্ফিয়ার

(d) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার

3. অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে পৃথিবীর জীব জগৎকে রক্ষা করে

(a) আয়োনোস্ফিয়ার

(b) ওজোনোস্ফিয়ার

(c ) থার্মোস্ফিয়ার

(d) ট্রপোস্ফিয়ার 

4. ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে উঠলে বায়ুর চাপ

(a) বৃদ্ধি পায়

(b) প্রথমে বৃদ্ধি পায় পরে হ্রাস পায়

(c ) হ্রাস পায়

(d) একই থাকে

5. বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর কোনটি-

(a) ট্রপোস্ফিয়ার

(b) মেসোস্ফিয়ার

(c) ষ্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

(d) থার্মোস্ফিয়ার। 

6. আগুনে বরফ হল-

(a) মিথেন

(b) কার্বন ডাই অক্সাইড

(c) মিথানল

(d) মিথেন হাইড্রেট

7. বায়ুমণ্ডলে ওজন গ্যাস কোন স্তরে ঘনীভূত অবস্থায় থাকে-

(a) ষ্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

(b) মেসোস্ফিয়ার

(c) আয়নোস্ফিয়ার

(d) ট্রপোস্ফিয়ার

8. সাধারণ অবস্থায় সমুদ্রপৃষ্ঠে আদর্শ গ্যাসের বায়ুচাপের পরিমাণ প্রায়-

(a) 1003 মিলিবার

(b) 1013 মিলিবার

(c) 1030 মিলিবার

(d) 1300 মিলিবার

9. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?-

(a) ট্রপোস্ফিয়ার

(b) মেসোস্ফিয়ার

(c) থার্মোস্ফিয়ার

(d) এক্সোস্ফিয়ার

10. প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাস হল-

(a) CFC

(b) CO2

(c) CH4

(d) O2

11. গ্রীন হাউস এফেক্ট এর জন্য দায়ী-

(a) গামা রশ্মি

(b) অতিবেগুনি রশ্মি

(c) X রশ্মি

(d) ইনফ্রারেড রশ্মি

12. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য যে গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি-

(a) নাইট্রাস অক্সাইড

(b) মিথেন

(c) কার্বন ডাই অক্সাইড

(d) জলীয় বাষ্প

13. নিচের কোনটি গ্রিন হাউস গ্যাস-

(a) নাইট্রোজেন

(b) অক্সিজেন

(c) নাইট্রাস অক্সাইড

(d) হাইড্রোজেন

14. প্রদত্ত কোন গ্যাসটি ওজোন স্তরের ওজন ক্ষয় সহায়তা করে-

(a) NO

(b) NO2

(c) NO3

(d) CFC

15. গ্রীন হাউজ প্রভাব সৃষ্টিতে কার্বন ডাই অক্সাইড এর অবদান-

(a) 10%

(b) 30%

(c) 50%

(d) 80%

16. সূর্যালোকের কোন রশ্মির জন্য সোলার কুকার কাজ করে-

(a) গামা রশ্মি

(b) অতি বেগুনি রশ্মি

(c) দৃশ্যমান আলোকরশ্মি

(d) অবলোহিত রশ্মি

17. সৌর কোষে অর্ধপরিবাহী হিসাবে ব্যবহৃত হয়-

(a) জার্মেনিয়াম

(b) অ্যালুমিনিয়াম

(c) সিলিকন

(d) গ্রাফাইট

18. বায়ো গ্যাসের মূল উপাদান হলো-

(a) CH4

(b) O2

(c ) N2

(d) CO2

19. আদর্শ জ্বালানির অন্যতম বৈশিষ্ট্য-

(a) জলীয় বাষ্প যুক্ত

(b) উচ্চ জ্বলনাঙ্ক

(c) উচ্চ তাপন মূল্য

(d) দামে সস্তা

20. কোনটি বায়োমাস শক্তির উৎস নয়?-

(a) কাঠ

(b) চারকোল

(c) গোবর

(d) পারমাণবিক বিভাজন

21. প্রদত্ত কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়-

(a) গোবর গ্যাস

(b) প্রাকৃতিক গ্যাস

(c) কয়লা

(d) পেট্রোলিয়াম

22. তাপন মূল্য অনুযায়ী কোনটি সর্বোৎকৃষ্ট জীবাশ্ম জ্বালানি-

(a) ডিজেল

(b) LPG

(c) পেট্রোল

(d) কেরোসিন

23. মিথেন হাইড্রেট পদার্থটি কোন ভৌত অবস্থায় থাকে-

(a) কঠিন

(b) তরল

(c) গ্যাস

(d) যেকোনো ভৌত অবস্থায়

24. কয়লা খনিতে জমে থাকা কোন গ্যাসটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়?-

(a) মিথেন

(b) ইথেন

(c) ওজন

(d) নাইট্রোজেন

25. মিথেন হাইড্রেটের সংকেত হল-

(a) CH4,23H2O

(b) CH3OH

(c) 3CH4,24H2O

(d) 4CH4,23H2O

26. বায়ো ডিজেল তৈরিতে ব্যবহৃত উদ্ভিদ হল-

(a) আম

(b) সেগুন

(c) জ্যাট্রোফা

(d) শাল

26. একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস হল –

(a) বায়োগ্যাস

(b) পেট্রোল

(c) কয়লা

(d) কেরোসিন

27. একটি পেট্রো প্লান্ট এর উদাহরণ হল-

(a) সেগুন

(b) পাইন

(c) কাঁঠাল

(d) ইউফোরবিয়েসি

28. বায়ো গ্যাসে মিথেনের শতকরা পরিমাণ হলো-

a) 60%

(b) 40%

(c) 70%

(d) 10%

29. Sweet gas বলা হয় যে গ্যাসকে-

(a) নাইট্রোজেন

(b)Coalbed methane

(c ) অক্সিজেন

(d) কার্বন ডাই অক্সাইড

30. গ্রীন হাউস গ্যাস না থাকলে পৃথিবীর উষ্ণতা হত-

(a) -23°C

(b) 15°C

(c) 0°C

(d) 32°C

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

1. ট্রপোস্ফিয়ারের বিস্তার কত কিলোমিটার?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 16 কিমি

2. নরম্যাল লেপস রেট বলতে কী বোঝো?

উত্তর: ট্রপোস্ফিয়ারে 1 কিমি উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় 6.5°C হারে হ্রাস পেতে থাকে। একেই নরম্যাল ল্যাপ্স রেট বলে। 

3. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে ক্ষুব্ধ মন্ডল বলা হয়?

উত্তর: ট্রপোস্ফিয়ার

4. ট্রপোস্ফিয়ারের শেষ সীমাকে কি বলে?

উত্তর: ট্রপোপজ

5. ট্রপোপজের উষ্ণতা কত?

উত্তর:-56°C

6. ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে অবস্থান করে?

উত্তর: ষ্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

7. কোন স্তরকে শান্ত মন্ডল বলা হয়?

উত্তর:ষ্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

8. ওজোন স্তর ষ্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে কোথায় অবস্থান করে?

উত্তর: 15-35 কিলোমিটার

9. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে জেট বিমান যাতায়াত করে?

উত্তর:ষ্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

10. ষ্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের শেষ সীমাকে কি বলে?

উত্তর:ষ্ট্র্যাটোপজ

11. বায়ুমন্ডলে কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?

উত্তর: থার্মোস্ফিয়ার বা আয়োনোস্ফিয়ার

12. নিরক্ষরেখার উপর ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা কত?

উত্তর: 17 km

13. বায়ুমন্ডলের কোন স্তরটি শীতলতম?

উত্তর: মেসোস্ফিয়ার

14. বায়ুমন্ডলে কোন কোন স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়?

উত্তর: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

15. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর দিয়ে জেট প্লেন গুলি চলাচল করে?

উত্তর:  স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

16. বায়ুমন্ডলে কোন স্তরে ঝড় বৃষ্টি হয়?

উত্তর: ট্রপোস্ফিয়ার

17. বায়ুমন্ডলে কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়?

উত্তর: আয়নোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার

18. বায়ুমন্ডলের উষ্ণতম স্তর কোনটি?

উত্তর: এক্সপিয়ার

19. ODS পুরো কথাটি কি?

উত্তর: Ozone Depleting Substances

20. ODP পুরো কথাটি কি?

উত্তর: Ozone Depleting Potential

21. বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের ঘনত্ব মাপার একক কি?

উত্তর: ওজোন স্তরের ঘনত্ব ডবসন এককে মাপা হয়

22. ওজোন স্তর তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের কোন রশ্মি কে শোষণ করে জীবকুল কে রক্ষা করে?

উত্তর: অতিবেগুনি রশ্মি

23. CFC পুরো কথাটি কি?

উত্তর: ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন

24. বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের ঘনত্ব পরিমাপের যন্ত্রের নাম কি?

উত্তর: ডবসন স্পেকট্রমিটার

25. বিদ্যুৎ ক্ষরণের সময় কোন গ্যাস ওজোন স্তরকে ভাঙ্গে?

উত্তর: নাইট্রিক অক্সাইড (NO)

26. বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে এমন একটি গ্যাসের নাম করো।

উত্তর: কার্বন ডাই অক্সাইড

27. একটি জৈব গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম কর।

উত্তর: মিথেন (CH4)

28. গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর একটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখো।

উত্তর: গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে

29. বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা কত?

উত্তর: 15°C

30. বায়োগ্যাসের একটি ব্যবহার লেখ।

উত্তর: জ্বালানি হিসেবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

31. কাঠকয়লা, পেট্রোল এবং ইথানল এর মধ্যে কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি?

উত্তর: পেট্রোল

32. মিথেন হাইড্রেট কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তর: সমুদ্রের তলদেশে পলিস্তরের নিচে

33. বায়ো গ্যাস প্লান্টে যেসব ব্যাকটেরিয়া বায়োমাস কে মিথেন গ্যাসে পরিণত করে তাদের কি বলে?

উত্তর: মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া

34. মিথেন হাইড্রেট এর সংকেত লেখ।

উত্তর: 4CH4.23H2O

35. সি.এন.জি র প্রধান উপাদান কি?

উত্তর: মিথেন

36. বায়ো গ্যাসের মূল উপাদান কি?

উত্তর: মিথেন (CH4)

37. একটি অপ্রচলিত শক্তি হচ্ছে নাম লেখ

উত্তর: সৌরশক্তি

38. ফায়ারি আইশ বা আগুনে বরফ কাকে বলে?

উত্তর: মিথেন হাইড্রেট কে

39. কোন জ্বালানির তাপন মূল্য সব থেকে বেশি?

উত্তর: হাইড্রোজেন জ্বালানি

40. সৌরকোষের শক্তি রূপান্তর লেখ।

উত্তর: আলোকশক্তি থেকে তড়িৎ শক্তি

41. বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য মূল কাঁচামাল কি?

উত্তর: গোবর

42. তাপন মূল্যের একক কি?

উত্তর: KJ/ kg বা KJ/gm, KJ/mol

43. ভূতাপ শক্তির প্রধান উৎস কি?

উত্তর: আগ্নেয়গিরি ও উষ্ণ প্রস্রবণ

44. বায়ুকলে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?

উত্তর: বায়ুর যান্ত্রিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে

45. একটি গ্যাসের নাম কর যা গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে না?

উত্তর: অক্সিজেন, নাইট্রোজেন

46. গ্রীন হাউস শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কি?

উত্তর: গ্রীন হাউজ শব্দটির অর্থ হল গাছপালা পরিচর্যার জন্য কাচের ঘর

47. প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাসটির নাম কর।

উত্তর: প্রধান গ্রীন হাউজ গ্যাসটি হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর গ্রিনহাউস প্রভাব 50%

48. প্রাকৃতিক সৌর পর্দা কাকে বলে?

উত্তর: ওজোন স্তরকে প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বলে

49. এক ডবসন একক কি?

উত্তর: এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে 0°C উষ্ণতায় 0.01 মিলিমিটার পুরু ওজোন স্তরের ঘনত্বকে এক ডবসন একক বলে।

50. অতিবেগুনি রশ্মির কোন কোন অংশ সব থেকে বেশি ক্ষতিকারক?

উত্তর: UV-B, UV-C

51. কয়েকটি অপ্রচলিত শক্তি উৎসের নাম লেখ।

উত্তর: কয়েকটি অপ্রচলিত শক্তি হলো সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, জোয়ার ভাটার শক্তি, ভূতাপ শক্তি, বায়োমাস শক্তি ইত্যাদি

52. জ্বালানি কাকে বলে?

উত্তর: যে বস্তু দহনে তাপ ও আলোক শক্তি উভয়ই পাওয়া যায় তাকে জ্বালানি বলে

53. দুটি প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানির নাম লেখ।

উত্তর: প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানি গুলি হল কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, এলপিজি, সিএনজি ইত্যাদি

54. তাপন মূল্য কাকে বলে? এর একক কি?

উত্তর: একক ভর বিশিষ্ট জ্বালানির সম্পূর্ণ দহনে যে তাপ শক্তি মুক্ত হয় তাকে ওই জ্বালানির তাপন মূল্য বলে এর একক হল কিলোজুল/গ্রাম, কিলোজুল/কেজি

55. প্রচলিত জ্বালানিগুলির মধ্যে কার তাপন মূল্য সব থেকে বেশি?

উত্তর: প্রচলিত জ্বালানি গুলির মধ্যে তাপন মূল্য সব থেকে বেশি এল.পি.জির

56. সৌর কোষে কোন অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: সিলিকন

57. অপ্রচলিত শক্তিগুলির মধ্যে প্রধান কোনটি?

উত্তর: সৌরশক্তি

58. কোলবেড মিথেন কি?

উত্তর: কয়লা খনিতে কয়লার কঠিন স্তরে অধিশোষিত গ্যাস ই হল কোলবেড মিথেন।

59. প্রতিবছর পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ কত?

উত্তর: 0.05°C

60. বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট-এ যে সব ব্যাকটেরিয়া বায়োমাস কে মিথেন গ্যাসে বিয়োজিত করে তাদের কি বলে?

উত্তর: মেথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া

61. ল্যাপস রেট কাকে বলে?

উত্তর: বায়ুমন্ডলে উচ্চতার সাথে তাপমাত্রা পরিবর্তনের হারকে ল্যাপস রেট বলে। বায়ুমন্ডলের কোন কোন স্তরে এই ল্যাপস রেট ধনাত্মক আবার কোন কোন স্তরে ঋণাত্মক।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

1. গ্রীন হাউস এফেক্ট কি?

উত্তর: পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে থাকা জলীয়বাষ্প কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিথেন ইত্যাদি গ্যাস গুলি সূর্য থেকে আসা ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তাপ তরঙ্গ কে পৃথিবীতে আসতে দেয় কিন্তু ভূপৃষ্ঠ থেকে দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তাপ তরঙ্গ কে সম্পূর্ণরূপে মহাশূন্যে ফিরে যেতে দেয় না ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ তরঙ্গ এই গ্যাস গুলি নিজেরা শোষণ করে এবং বাকি অংশ ভূপৃষ্ঠে প্রতিফলিত করে এইভাবে পৃথিবীর সংলগ্ন অঞ্চলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় একেই গ্রীন হাউস এফেক্ট বলে

2. গ্রীন হাউস গ্যাস কাদের বলে?

উত্তর: বায়ুমন্ডলে যেসব গ্যাসের উপস্থিতির জন্য গ্রীন হাউস এফেক্ট ক্রিয়া সংঘটিত হয় তাদের গ্রিন হাউস গ্যাস বলে, যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড, জলীয়বাষ্প, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি

3. গ্লোবাল ওয়ার্মিং কি?

উত্তর: ক্রমবর্ধমান হরে গ্রীন হাউস গ্যাস গুলি বায়ুতে নির্গত হওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী ক্রমশ উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনাকে পরিবেশবিদরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং নাম দিয়েছেন

4. গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর দুটি ফলাফল লেখ

উত্তর: গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলাফল গুলি হল 

1. পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফ আরো বেশি করে গলবে

2. বরফ গলা জল সমুদ্রের জলের সাথে যুক্ত হয়ে সমুদ্র তলের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি করবে।

3. উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দাবানলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং বনভূমি নষ্ট হবে।

4. গ্রীন হাউজ গ্যাস কমানোর দুটি কার্যকরী উপায় লেখ 

উত্তর: গ্রীন হাউজ গ্যাস কমানোর কার্যকরী উপায় গুলি হলো

  1. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমালে CO2 এর উৎপাদন হ্রাস পাবে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই অপ্রচলিত বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারে আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে
  2. গ্রীন হাউজ প্রভাবকে হ্রাস করার জন্য বনভূমি একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে তাই বনভূমি সংরক্ষণে যথেষ্ট নজর দিতে হবে অর্থাৎ বনভূমি ধ্বংস না করে আরো নতুন বনভূমি সৃষ্টির জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে।
  3. ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন জাতীয় পদার্থের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে সম্ভব হলে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

5. স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে?

উত্তর: স্থিতিশীল উন্নয়ন হল সেই উন্নয়ন যা বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরণের কোনরূপ অসুবিধা যাতে না ঘটে, তার দিকে উপযুক্ত দৃষ্টি রাখে।

6. এমন দুটি শক্তি হচ্ছে নাম লেখ যার সরাসরি সূর্য থেকে আসে না

উত্তর: পারমাণবিক শক্তি ও ভূতাপ শক্তি

7.স্থিতিশীল উন্নয়নের দুটি লক্ষ্য লেখ

উত্তর: স্থিতিশীল উন্নয়নের দুটি লক্ষ্য হলো 1. পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদের সঠিক ব্যবহার 2. সুস্থায়ী সমাজ ও সুস্থায়ী অর্থনীতি

8. সৌর শক্তির দুটি ব্যবহার লেখ

উত্তর: 1.সৌর কোষের সাহায্যে সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় এবং এই বিদ্যুৎ জলের পাম্প,রেডিও, টিভি ল্যাম্পপোস্টের বাতি ইত্যাদি জ্বালাতে ব্যবহার করা হয়

2. সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সোলার হিটার তৈরি করা হয় এবং জল গরমের কাজে ব্যবহার করা হয়

9. বায়ুর প্রধান উপাদান গুলির নাম কর।

উত্তর: নাইট্রোজেন (78.09%), অক্সিজেন (20.95%), আর্গন(0.93), কার্বন ডাই অক্সাইড (0.03%), জলীয় বাষ্প, মিথেন ইত্যাদি

10. উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুমন্ডলে চাপের পরিবর্তন কিভাবে হয়?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর চাপ ক্রমশ কমতে থাকে। এর কারণ হলো উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে বায়ুর ঘনত্বের মান কমে যায় এবং প্রতি কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে বায়ুর চাপ প্রায় 8.5 cm পারদ স্তম্ভের চাপ হিসাবে কমে যায়

দীর্ঘ উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর: (মান – 3 ) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

1. মানব স্বাস্থ্য ও জীবজগতের উপর ওজোন স্তর ধ্বংসের তিনটি ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো

উত্তর: ওজোন স্তরের বিলুপ্তি ঘটলে মানুষ সহ সকল প্রকার উদ্ভিদ এবং প্রাণীদেহে এবং জলবায়ু ও বাস্তু তন্ত্রে নানারকম ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হয়…

1. বায়ুমণ্ডলের স্টেটোস্ফিয়ারে ওজোন স্তরের বিলুপ্তি হলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ওই স্তরে শোষিত না হয়ে ভূপৃষ্ঠে আপতিত হবে ফলে ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বাড়বে এবং মেরু অঞ্চলের বরফ গলবে তার ফলে সমুদ্রের জল তলের উচ্চতা বাড়বে।

2. ওজোন স্তর বিনাশের ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ভূপৃষ্ঠে এলে প্রথমেই মানুষের ত্বক আক্রান্ত হবে তাই ত্বক ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি হবে এবং মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে।

3. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে আপতিত হলে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষের হার এবং শস্যফলনের হার কম হবে, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে জমির আদ্রতা এবং জলাশয় এর জল বাষ্পীভূত হবে এবং ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে

2. সৌরশক্তি ব্যবহারের সুবিধা দুটি অসুবিধা লেখো।

উত্তর: 

সুবিধা: 1. সৌরশক্তি অফুরন্ত

2. পরিবেশ দূষণ হয় না

3. দুর্গমঞ্চলে ও মহাকাশে সৌরশক্তি একমাত্র ভরসা।

অসুবিধা: 1. সৌরশক্তি ব্যবস্থা বসানোর খরচ অনেক বেশি

2. সূর্যের অবস্থান ভেদে সৌরশক্তি ব্যবস্থার কার্যকরী ক্ষমতা বাড়ে বা কমে। রাতে সৌরশক্তি ব্যবহার করা যায় না বা আকাশ মেঘলা থাকলে সৌরশক্তি ব্যবহার করা যায় না।

3. বায়ু শক্তি কি? বায়ু শক্তির দুটি ব্যবহার লেখ।

উত্তর: বায়ুর গতিশক্তি হল বায়ু শক্তি। বায়ুর গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের টারবাইন কে ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করে।

বায়ু শক্তির ব্যবহার:

1. বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উইন্ড মিলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।

2. বায়ু শক্তির সাহায্যে জল তোলা, গম ভাঙানো, ইত্যাদি কাজ করা হয়।

4. বায়ু শক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ।

উত্তর:

সুবিধা:

1. পরিবেশ দূষণ ঘটায় না

2. কোন জ্বালানির খরচ ছাড়াই অর্থাৎ বিনা ব্যয়-এ বায়ু শক্তি পাওয়া যায়

3. এটি অফুরন্ত শক্তির উৎস

4. দুর্গম অঞ্চলে যেখানে বায়ু প্রবাহ বেশি সেখানে তড়িৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে

অসুবিধা:

1. যেকোন স্থানে বায়ু শক্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় না

2. সারা বছর সমান ভাবে বায়ুপ্রবাহ হয় না

3. বায়ু শক্তি ব্যবস্থার প্রাথমিক খরচ খুব বেশি

5. জোয়ার ভাটার শক্তি কি? এর ব্যবহার লেখ।

উত্তর: নদী ও সমুদ্রের জোয়ার ভাটা কে কাজে লাগিয়ে যে শক্তি উৎপাদন করা হয় তাকে জোয়ার ভাটা শক্তি বলে।

এই পদ্ধতিতে সমুদ্রের ধারে জলাধার নির্মাণ করা হয়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল জলাধারে প্রবেশ করে আবার ভাটার সময় জলাধার থেকে সমুদ্রে জল প্রবাহিত হয়, জল প্রবাহের পথে টারবাইন লাগিয়ে দিলে জল প্রবেশ এবং বেরিয়ে যাওয়ার সময় টারবাইনটি করে ও বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়।

জোয়ার ভাটা শক্তির ব্যবহার:

জলস্রোতের গতিবেগকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই বিদ্যুৎ বিভিন্ন কাজে লাগে।

6. জোয়ার ভাটা শক্তির দুটি সুবিধা দুটি অসুবিধা লেখ

উত্তর: সুবিধা:

1. এটি একটি সব সময়ের চলমান শক্তির উৎস

2. উৎপাদন দক্ষতা অনেক বেশি

3. দূষণমুক্ত শক্তির উৎস

অসুবিধা:

1. এর প্রযুক্তি এখনো উন্নত নয় কেবলমাত্র উচ্চ জোয়ারযুক্ত অঞ্চলে এটি প্রয়োগ করা যায়।

2. এখনো পর্যন্ত এটি একটি ব্যয়বহুল প্রজেক্ট

7. ভূতাপ শক্তি কাকে বলে এটি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ

উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপ শক্তি ব্যবহার করে তড়িৎ শক্তি সৃষ্টি করা যায়। ভূ অভ্যন্তরস্থ তাপ গ্রহণ করে ঘর গরম করা কিংবা স্টিম ব্যবহার করে টারবাইন ঘুরিয়ে তড়িৎ শক্তি সৃষ্টি করা যায়।

ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের সুবিধা:

 1. এটি অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়বহুল

2. এর তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন করার ক্ষমতা অনেক বেশি

3. পরিবেশ বান্ধব শক্তি

ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের অসুবিধা:

1. ভূতাপ শক্তির উৎস গুলি পৃথিবীতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো

2. অতি গভীর পর্যন্ত ড্রিলিং করে এই শক্তি পাওয়া বেশ কষ্টকর।

8. বায়োমাস শক্তি কি? বায়োমাস শক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ

উত্তর: কৃষিজাত বর্জ্য, পচা গাছপালা, আখের ছিবড়ে, শাকসবজি ফলমূলের খোসা, কচুরিপানা, প্রাণীর মল-মূত্র, মৃত প্রাণী দেহের অবশেষ ইত্যাদি কার্বন ঘটিত পদার্থতে যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে তাকে বায়োমাস শক্তি বলে।

সুবিধা: 

1.এটি সহজলভ্য

2. উৎপাদন ব্যয় অনেক কম

3. শহর যন্ত্রপাতির সাহায্যে তৈরি করা যায়

অসুবিধা:

1. তাপন মূল্য তুলনামূলকভাবে কম

2. পরিবেশ দূষণ ঘটায়

9. মিথেন হাইড্রেট কি? একে ফায়েরী আইস বলে কেন?

উত্তর: মেরুপ্রদেশে বরফের নিচে এবং সমুদ্রের তলদেশে পুলিশ স্তরের নিচে বরফে চাইয়ের আকারে মিথেনের যে স্তর পাওয়া যায় তাকে মিথেন হাইড্রেট বলে।

মিথেন হাইড্রেট এক ধরনের ক্ল্যাথরেট জাতীয় যৌগ। মিথেন হাইড্রেট এর কেলাসের সংকেত 4CH4,23H2O

মিথেন হাইড্রেটে আগুন জ্বালালে এর থেকে নির্গত মিথেন বায়ুতে জ্বলতে থাকে এই কারণে মিথেন হাইড্রেট কে ফায়ারী আইস বা আগুনে বরফ বলে।

10. বায়ুমণ্ডল কে প্রধানত কটি স্তরে ভাগ করা হয় ও কি কি? বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস সংক্ষেপে আলোচনা কর

উত্তর: বায়ুমণ্ডল কে প্রধানত ছ’টি স্তরে ভাগ করা হয়

1. ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধ মন্ডল

2. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্ত মন্ডল

3. মেসোস্ফিয়ার

4. থার্মোস্ফিয়ার বা আয়োনোস্ফিয়ার

5. এক্সোস্ফিয়ার

6. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার

1. ট্রপোস্ফিয়ার: ভূপৃষ্ঠ থেকে 16 থেকে 18 কিলোমিটার পর্যন্ত এই স্তরটি বিস্তৃত। বায়ুর 75 % উপাদান এই স্তরেই থাকে। এই স্তরে ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি দেখা যায় বলে এই স্তরকে ক্ষুব্ধ মন্ডল বলে। এই স্তরের সর্বোচ্চস সীমাকে ট্রপোপজ বলে। ট্রপোপজ অংশের তাপমাত্রা -56°C, ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা হ্রাস পায় এই ঘটনাকে ল্যাপস রেট বলে। এর মান 6.5°C/কিমি

2. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার: ট্রপোস্ফিয়ারের উপর থেকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে কুড়ি থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমন্ডলের স্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্ত মন্ডল এই স্তরে জলীয় বাষ্প ধূলিকণা না থাকায় এবং বায়ুর ঘনত্ব খুব কম হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি ঘটে না এই কারণে এই স্তরকে শান্ত মণ্ডল বলে। এই স্তরের মধ্য দিয়ে জেট প্লেন গুলি চলাচল করে। এর সর্বোচ্চ সীমাকে স্ট্র্যাটোপজ বলে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারএর উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। এই স্তরের উপরের দিকের উষ্ণতা প্রায় 0°C

3.ওজোনস্ফিয়ার: বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে 15 থেকে 40 কিলোমিটার উচ্চতায় প্রধানত ওজোন গ্যাসের যে স্তর থাকে তাকে ওজোন স্তর বা ওজোনোস্ফিয়ার বলে। এই স্তর সূর্য রশ্মির ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি প্রধানত UV-B এবং UV-Cশোষণ করে জীবজগৎ কে রক্ষা করে। এই স্তরের সর্বোচ্চ উষ্ণতা প্রায় 76 ডিগ্রি সেলসিয়াস

4.মেসোস্ফিয়ার: স্ট্যাটোস্ফিয়ারের উপর থেকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ সাপেক্ষে ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমন্ডলের স্তরটিকে মেসোস্ফিয়ার বলে এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতার হ্রাস পায় এবং মেসোস্ফিয়ার স্তরের উর্ধ্বসীমার উষ্ণতা প্রায় -93°C। এই স্তরের উর্ধ্বসীমাকে মেসোপজ বলে।

5. থার্মোস্ফিয়ার ( আয়নোস্ফিয়ার) : মেসোস্ফিয়ারের উপর থেকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ সাপেক্ষে 80 থেকে 500 কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলে। অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে এই স্তরের উষ্ণতা খুব বেশি হয় এবং সর্বোচ্চ উষ্ণতা প্রায় 1250°C. স্তরে গ্যাস অণুগুলি উচ্চ তাপমাত্রায় আয়নে নিয়োজিত হয়ে যায় তাই এই স্তরের অপর নাম আয়নোস্ফিয়ার. থার্মোস্ফিয়ার স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়। এই স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে।

6. এক্সোস্ফিয়ার: থার্মোস্ফিয়ারের উপর থেকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ সাপেক্ষে 500 থেকে 750 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরকে এক্সোস্ফিয়ার বলে। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই স্তরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। সর্বোচ্চ স্তরের উষ্ণতা প্রায় 1600°C। এক্সোস্ফিয়ার স্তরে কৃত্রিম উপগ্রহ গুলি থাকে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি অবস্থিত।

7.ম্যাগনেটোস্ফিয়ার: এক্সোস্ফিয়ার এর উপর থেকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ সাপেক্ষে 750 থেকে 10000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের বায়ু আয়নিত অবস্থায় থাকে। এই স্তরে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় দেখা যায়।

11. পরিচলন ও পরিচলন স্রোত কি?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের উত্তপ্ত অনু গুলি নিজেরাই উষ্ণতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে তাপ সঞ্চালিত করে তাকে পরিচলন বলে। 

তরল বা গ্যাসীয় পদার্থ উত্তপ্ত হলে আয়তনে প্রসারিত হয় এবং ঘনত্ব কমে যায় ফলে হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং উপরের অপেক্ষাকৃত বেশি ঘনত্বের ভারী তরল বা গ্যাস নিচে নেমে আসে। পুনরায় এই তরল বা গ্যাস উত্তপ্ত হয়ে উপরে উঠে যায় এইভাবে যে চক্রাকারে স্রোতের সৃষ্টি হয় তাকে  পরিচলন স্রোত বলে।

12. সমুদ্র বায়ু কাকে বলে?

উত্তর: দিনের বেলা সূর্য রশ্মির প্রভাবে স্থলভাগ এবং জলভাগ উভয়ই উত্তপ্ত হয় কিন্তু জলভাগ অপেক্ষার স্থলভাগের আপেক্ষিক তাপ কম হওয়ায় স্থলভাগ দ্রুত উত্তপ্ত হয়। ফলে ওই স্থানের মাটি সংলগ্ন বাতাসও উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায়।

এই কারণে ওই স্থানে নিম্ন চাপে সৃষ্টি হয়। কিন্তু জলভাগের উপরের বাতাস অপেক্ষাকৃত শীতল থাকায় তার চাপ বেশি হয়। তখন জলভাগের উপর থেকে অপেক্ষাকৃত শীতল ভারি বাতাস স্থলভাগের নিম্ন চাপের দিকে প্রবাহিত হয়। একে সমুদ্র বায়ু বলে, সন্ধ্যার সময় এই বায়ুর তীব্রতা সবথেকে বেশি হয়।

13. স্থলবায়ু কাকে বলে?

উত্তর: রাত্রিবেলা জলভাগ অপেক্ষার স্থলভাগ দ্রুততাপ বিকিরণ করে শীতল হয়। ফলের স্থলভাগের উপরের বাতাস ঠান্ডা হয়ে উচ্চ চাপের সৃষ্টি করে। তখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরের বায়ু উত্তপ্ত থাকায় তা নিম্ন চাপের সৃষ্টি করে।

এই কারণে স্থলভাগের উপর থেকে জলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। একই স্থলবায়ু বলে। ভোরবেলা এই বায়ুর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়

14. প্রাকৃতিকভাবে ওজোন স্তর কিভাবে সৃষ্টি ও ধ্বংস হয়?

উত্তর: বায়ুমন্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে দুটি পরপর আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ওজোন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। প্রথম ধাপে অক্সিজেন অনু সূর্য থেকে আসা কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে এবং অক্সিজেন পরমাণুতে ভেঙ্গে যায়।

O2= O+O

তারপর একটি অক্সিজেন পরমাণু অপর একটি অক্সিজেন অনুর সাথে যুক্ত হয়ে ওজোন অনুর সৃষ্টি করে।

O2 +O=O3

আবার ওজোন অনু বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যুক্ত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে অক্সিজেন অণুতে পরিণত হয়

বিক্রিয়া:

O3= O2+O

O3+O=2O2

15. ওজোন স্তর ধ্বংসে CFC র ভূমিকা কি?

উত্তর: অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে CFC বিভাজিত হয়ে সক্রিয় ক্লোরিন পরমাণুতে পরিণত হয় যা ওজোন অনুর সাথে বিক্রিয়া করে অক্সিজেন এবং ক্লোরিন মনোক্সাইড এ পরিণত হয়।

উৎপন্ন ক্লোরিন মনোক্সাইড (ClO)  পুনরায় ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে অক্সিজেন এবং সক্রিয় ক্লোরিন পরমাণু উৎপন্ন করে। এই ক্লোরিন আবার ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে এইভাবে চক্রাকারে প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে।

বিক্রিয়া: 

CFCl3 = CFCl2 +Cl

Cl + O3 = ClO

ClO+O3 = Cl + 2O2

16. নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহ স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরে কিভাবে ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে?

উত্তর: স্টাটোস্ফিয়ার স্তরে জেট বিমানগুলি চলাচল করে। জেট বিমানের জ্বালানির দহনে NO এবং NO2 গ্যাস উৎপন্ন হয়। ওজোন অনু NO এবং NO2 এর সাথে বিক্রিয়া করে অক্সিজেনের পরিণত হয়

বিক্রিয়া:

NO + O3 = NO2 + O2

O2 = O + O

NO2+ O= NO + O2

অসংখ্য ধন্যবাদএই ” Madhyamik Physical Science Suggestion – পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bigyansiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন। এছাড়াও কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট এ জানান

Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫ এর জন্য আরোও দেখুন:- আলো (অধ্যায়-৫) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন

Leave a Comment